আজ শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রক্ত দিয়ে কিনতে হয়েছে: মন্ত্রী গাজী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জে নানা আয়োজনে বিজয়ের ৫০ বছর (স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী) উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর সকালে সরকারী মুড়াপাড়া কলেজ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ,আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা।

তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধু জাতিকে ডাক দিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে। তার ডাকে আমরা অকুতভয় মুক্তিযোদ্ধারা ঝাপিয়ে পড়ে ছিলাম। দেশের জনগণ আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছিলো। তাই আমরা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিজয় অর্জন করি। এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথবাহিনীর নিকট পাকিস্থান বাহিনী আত্ম সমর্থন করে । আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি , বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের । স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদকে ।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে রক্ত দিয়ে কিনতে হয়েছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা চলে যাচ্ছে। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা বেচে আছে তাদেরকে স্মরণ করছি। বিজয়ের ৫০ বছরে আজকে আমরা আনন্দ করবো। যারা চলে গেছে তাদের দুঃখ বেদনার কথা আমরা উপলব্ধি করবো। দেশের সমস্ত জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, কারণ তারা একাত্তরে আমাদেরকে যদি সমর্থন না দিতেন তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। আমাদের গ্রামবাসীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন করেছেন বিধায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করতে পারছি। প্রবাসী সরকারের সমর্থনে আমরা ভারতে গিয়ে আমরা অস্ত্র পেয়েছি, ট্রেনিং পেয়েছি, খাদ্য পেয়েছি , তাই আমরা ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, ভারতের জনগণের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন বাঁধাই শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন বাঁধাই ঠেকাতে পারেনি। বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেরই ফাঁসি হয়েছে। এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। বাকিদেরও বিচার হচ্ছে। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।”
এসময় তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, রূপগঞ্জ থানার ওসি সায়েদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ,শহীদ পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।