আজ রবিবার, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যার যে কাজ দরকার জানাবেন করে দেব: মন্ত্রী গাজী

নবকুমার: নারায়ণগঞ্জ – ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, আজকে মন্ত্রী আছি কালকে মন্ত্রী নাও থাকতে পারি। যতক্ষণ দায়িত্বে আছি ততক্ষণ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আপনাদের যার যে কাজ দরকার আমাকে জানাবেন আমি করে দেওয়ার চেষ্টা করব। রূপগঞ্জের কোনো উন্নয়ন বাদ থাকবে না। রূপগঞ্জকে সোনার রূপগঞ্জ করাই আমার লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমি কোনোদিন স্বাধীনতা পুরস্কারের কথা চিন্তা করিনি। আর এই পুরস্কার যারা পান তাদের সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে সরকার পুরস্কার দেয়।

বৃহস্পতিবার ( ১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মন্ত্রীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছে আমি ঋণী। তিনি আমার উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে তিনবার দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। মন্ত্রী বানিয়েছেন। আবার স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছেন। এ সবকিছু আমি রূপগঞ্জবাসীর ভালোবাসার জন্য পেয়েছি। তারা আমাকে ভালোবেসে তিনবার ভোট দেয়ায় আমি মন্ত্রী হয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থা জরিপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যত রিপোর্ট দিয়েছে সব রিপোর্ট ভালো পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন , আমার টাকা পয়সার অভাব নেই। রূপগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় আমি গবিত। আমি কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টায় আছি। আমার ঋণগুলো পরিশোধ হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নবাস্তবায়ন হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানে সুখে -দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জের সব সেতু হয়েছে। ডেমরা সেতুটির কাজ আটকে আছে। সেটাও হবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া। তিনি বলেন , রূপগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগ সরকার কোনোদিন মন্ত্রী দেয় নাই। গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক সেই মন্ত্রীত্বের অভাবটা পূরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাকে মন্ত্রী বানিয়ে রূপগঞ্জবাসীর দাবি পূরণ করেছেন। আমরা সবাই তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল ভুঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খাঁন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ সোহেল সহ অনেকে। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দেয়ার জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।