আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যাকে দিবেন সেই প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এনায়েতনগর ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বইছে । চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশী। মেম্বার প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সরব হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ মাঠে নেমেছে। সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটনের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান প্রধান, মো. ইউসুফ সহ আরও কয়েকজন নির্বাচন করবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কার প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এর আশীর্বাদ থাকবে, তা এখনও পরিস্কার নয়।

প্রায় ১৭ বছর বন্ধ ছিলো নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের নির্বাচন। ২০১১ সালে নির্বাচন হলে চেয়ারম্যান হন নাসির উদ্দিন। যিনি এর আগেও একবার চেয়ারম্যান ছিলেন। মেয়াদপূর্তির আগেই নাসির উদ্দিন চেয়ারম্যান মৃত্যুবরণ করেন। এরপর উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন হাবিবুর রহমান লিটন। এ উপ নির্বাচনে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম প্রার্থী থাকলেও তিনি একটি কেন্দ্রেও জয় পাননি। তার ও তার অনুসারীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী শিল্পপতির ভাতিঝা হওয়ায় লিটন নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে জয়ী হয়েছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান ও এনায়েতনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক আলমগীর প্রার্থী হন। এ নির্বাচনে লিটন প্রথমে প্রচার প্রচারণা চালালেও পরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ভোটে জিতে এখনও চেয়ারম্যান আছেন আসাদুজ্জামান।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের প্রথমদিকে এনায়েতনগর সহ অন্যান্য ইউনিয়ন নির্বাচন হবে। এবার নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন আসাদুজ্জামান। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। অপরদিকে হাবিবুর রহমান লিটনও চেষ্টা করছে সরকার দলের আশীর্বাদ পেতে। গুঞ্জন রয়েছে, তার চাচা শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সাথে দেন দরবার করছেন। তারা ছাড়াও আরও কয়েকজন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান ও সাবেক সহ সভাপতি মো. ইউসুফ অন্যতম। স্থানীয়রা জানান, মতি প্রধান ২০১১ সালে নাসির চেয়ারম্যানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অনেক ভোট পেয়েছিলেন। বৃহত্তর মাসদাইরের একক প্রার্থী হওয়ায় তার ব্যালটে ভোট পড়েছিলো অনেক। নাসির চেয়ারম্যান মারা গেলে উপ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রচার প্রচারণা চালালে পরে লিটনের পক্ষে মোহাম্মদ আলীর অনুরোধে তিনি সরে যান। অপরদিকে ধর্মগঞ্জের মো. ইউসুফ ইতিমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে এ প্রার্থীদের মধ্যে কে কার লোক কিংবা কার আস্থাভাজন সে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে বলে জানা গেছে। থানা আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দল থেকে একজনকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। সূত্রের খবর, এ বিষয়টি সরাসরি দেখেন স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমান। তিনি যাকে সমর্থন দিবেন সেই হবে এনায়েতনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।