আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেয়ে হারিয়ে মূর্ছা গেছেন মা, বাঁচবেন কাকে নিয়ে

আট মাস আগে অপহরণের শিকার হয় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার সিএনজি চালক ফাহাদুল আলম ও শামীমা বেগমের আঠারো মাসের ছোট্ট কন্যাশিশু রাইসা মনি। প্রিয় সন্তানের সন্ধানে খোঁজে থানা, পুলিশ আর এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিস ঘুরছেন তাঁরা। তবু আদরের সন্তান কিংবা অপহরণকারীর কোনো হোদিশ নেই।

আইনশৃঙ্খলা বাহনীর পক্ষ থেকেও নেই কোনো আশার বার্তা। তাই একমাত্র কন্যাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছেন নিখোঁজ রাইসা মনির পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিল নিখোঁজ শিশুর বাবা ফাহাদুল ইসলাম, মা শামীমা বেগম, নানী অনুফা বেগম ও দুই ভাই।

মা শামীমা বেগম বলেন, আমাদের প্রথম মেয়ে হয়েছিল। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। নানা অসুখ-বিসুখের কারণে ছয় বছর বয়সেই তাকে হারাতে হয়েছে। দুই ছেলের পর আবার আমার সংসারে রাইসা মনি আসে। এই মেয়েটিকেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৮ মাস বয়সেই তাকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো। সংসারে একমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে সবার আদরের ছিল সে। মেয়েটিকে হারিয়ে ফেলার পর থেকেই আমার সংসার শূন্য।’

বাবা ফাহাদুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব পরিচিত এক সিএনজি চালক কাশেম একদিন রাজিয়া (১৮) নামের এক নারীকে নিয়ে এসে বলে সে অসহায় তাকে তোমাদের বাড়িতে কয়েকদিন রাখো। আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমাদের সঙ্গে থাকতো, শিশুদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়েগিয়েছিল। গত বছরের ১১ অক্টোবর বিকেলে সে আমার মেয়েকে নিয়ে মুড়ি খাওয়ার কথা বলে বাহিরে বের হয় এবং আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। নিখোঁজের আট মাস হলেও আমি এখনও আমার মেয়েকে পাইনি।’

ফাহাদুল ইসলাম বলেন, ‘পিবিআইতে মামলাটি আছে এখন। আমি এদিক ওদিক ঘুরছি। কাসেম ওই নারীকে দিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করিয়েছে। পরে সেদিন রাতেই পুলিশ কাশেমকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েছি পুলিশকে যেখানে ওই নারী কাশেমের সঙ্গে কথা বলছে। ও সবকিছু জানে। পুলিশ বলে আপনি দেখে রাখেন। তারা ফুটেজ নেয়নি। আমি প্রশাসেনর সহযোগিতা চাই, তারা যেন আমার সন্তানকে আমার কোফে ফিরিয়ে দেয়।’

(সংবাদচর্চা/২জুন/এএম-এম)