আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেম্বার নিয়ে টেনশন কম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘ ৩০ বছর পর হচ্ছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের অনেক হেভিওয়েট নেতা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছির আলী, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মীর সোহেল, থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম। তারা সবাই স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগত। দলীয় সুত্রের খবর প্রার্থী চূড়ান্তের ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করেন শামীম ওসমান। সাবেক এমপি কবরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত খন্দকার লৎফর রহমান স্বপন বেছে নেন তিনি। এর কারণ হিসেবে কর্মীরা বলছে প্রার্থী চয়েস এর উপর জয় -পরাজয় নির্ভর করে। স্বপন দীর্ঘদিন যাবত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় তাকেই বেছে নিয়েছেন উত্তরপাড়ার সেনাপতি।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। এবার চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী লুৎফর রহমান স্বপন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখার প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক )আলহাজ্ব আলী আজম মোল্লা, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতীক) কাজি দেলোয়ার হোসেন। শেষ পর্যন্ত নৌকার বিপক্ষে ৩ জন প্রার্থী থাকায় কিছুটা চাপে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। সুত্রের খবর তাকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন শামীম ওসমান। তার কর্মীরাও নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তারপরও পরাজয়ের ভয় কাটছে না।

সম্প্রতি রাইফেল ক্লাবে ফতুল্লা থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে একান্ত বৈঠক করেন শামীম ওসমান।

সভায় তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন “মেম্বার পদপ্রার্থী নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই, যে-যার যোগ্যাতা নিয়ে পাস করে উঠে আসবে। শুধুমাত্র নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা কর্মীদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দেন তিনি।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ফতুল্লায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও মেম্বার নিয়ে শামীম অনুগতদের মধ্যে খেলা হবে।