আজ শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুকুলকে বহিষ্কার করার সুপারিশ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রায় দেড় কোটি টাকার অনিয়ম ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির কারণে নবীগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের সভাপতি পদ থেকে আতাউর রহমান মুকুলকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক।
এছাড়াও স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে দফাওয়ারী ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ প্রদান করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তাদের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ব্যাখ্যা চেয়ে ১৪ মে বোর্ড কর্তৃক ওই নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
এর আগে ৫ মে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. আরিফুল নবীগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক একটি তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে ৭ দফা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং পত্র প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে সুস্পষ্ট ব্যাখা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ, স্কুলটির সভাপতি পদে বিগত ১৬ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুলের দায়িত্বে আছেন সায়মা খানম।
নোটিশের প্রথম দফায় ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক উম্মে সালমাকে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৫ টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বোর্ডের ১০-১০-২০২১ তারিখের আপীল অ্যন্ড আরবিটেশন সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই টাকা তাকে ফেরৎ দিতে বলা হয়।
এছাড়াও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রায় দেড় কোটি টাকার অনিয়ম ও বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পদ থেকে আতাউর রহমান মুকুলকে বহিষ্কার করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। যা নোটিশের তৃতীয় দফায় উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক সায়মা খানমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে নোটিশের পঞ্চম দফায় উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষমতার অপব্যাবহার সভাপতির ছত্রছায়ায় বিভিন্ন দুর্নীতি সব বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বোর্ড যেকোনো সময় যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।
এছাড়াও নোটিশের ষষ্ঠ দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উম্মে সালমার নিয়োগ কালিন বিভিন্ন কাগজপত্র, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, প্যাটান ভিত্তিক শিক্ষ (তথ্য বিবরণী ছক) এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উম্মে সালমার এমপিও কপিতে শাখাভিত্তিকের পরিবর্তে নিয়মিত এবং শিক্ষক প্যাটান তথ্য বিবরণী ছকে অতিরিক্ত শিক্ষক (গণিত) পদ বাতিল করে উম্মে সালমাকে আবশ্যিক (গণিত) শিক্ষক পদ হিসেবে পুর্ন বহাল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অপরদিকে স্কুলটির আর্থিক হিসাবে ব্যাপক গড়মিল সন্দেহজনক হওয়ায় সরকারি নিরীক্ষক দ্বারা স্কুলের বিগত ১০ বছরের অর্থনীতি অনিয়ম অডিট করা কথা উল্লেখ করা হয়েছে।