সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একেএম শামীম ওসমান বলেছেন , ‘নেলসন ম্যান্ডেলা বলেন, মহাত্মা গান্ধি বলেন আর শেখ মুজিবুর রহমানই বলেন। এরা হাজার বছরে একজন আসে, একটি জাতিকে মুক্ত করার জন্য। মির্জাফররা আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করতে চায় কিন্তু তারা আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করতে পারবে না। যে খেলা শুরু হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয়নি। এটা সরকার পরিবর্তনের খেলা না, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার খেলা।
৯ তারিখে শুধু স্বাধীনতার পক্ষের কর্মী থাকবে। ওরা আজকে বলছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানি না, কালকে বলবে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পাড়বে না, পরশু বলবে একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেয়া যাবে না, তার পরের দিন বলবে ১৬ই ডিসেম্বরে ৩০ লাখ শহীদদেরকে শ্রদ্ধা দেয়া যাবে না, তারপরে বলবে পহেলা বৈশাখ করা যাবে না, একটার পর একটা আস্তে আস্তে বের করবে ওরা।’রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল অ্যামিউজমেন্ট পার্কে ফতুল্লা আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, অনেক লোক আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন কিন্তু রাজনীতি করেন না। শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে কিন্তু আমাকে ভালোবাসেন না। তারা যে কেও হতে পারেন আমাদের বাসার কাজের লোক, কোন ব্যবসায়ী, অভিনেতা। সমাজের জন্য যারা কিছু করতে চায়, তাদের এগিয়ে আসতে সাহায্য করুন। অনেকে লজ্জায় সামনে আসতে চায় না কিন্তু তারা সমাজের জন্য কিছু করতে চায়। তাদের পাশে দাঁড়ান, তাদের বলেন ‘আমরা আছি তোমার পাশে, তুমি এগিয়ে যাও সমাজের কল্যানে’। তিনি বলেন, প্রতিটা ওয়ার্ড ভিত্তিক আপনারা পঞ্চায়েত গঠন করেন। আমরা ওই পঞ্চায়েতকে পরিচালনা করবো না, ওই পঞ্চায়েত আমাদেরকে পরিচালনা করবে। তিনি বলেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বশরীরে হত্যা করেছিলো আর এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাতুড়ি লাগিয়ে একবার নয়, কয়েক শতবার হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নয়, ওরা চায় আপনার-আমার সন্তানের ভবিষ্যতকে শেষ করতে। তারা দেশটাকে একটা ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে খেলায় নেমেছে। লাখো লোকের সমাবেশ চাই। আওয়াজ এমন ভাবে তুলতে হবে, যাতে তারা বুঝে- নারায়ণগঞ্জের খেলোয়াররা রেডি হয়ে গেছে, খেলা আর একবার হবে। আগামী ৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘণ্টা বাজাতে হবে।’
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাইজুল ইসলাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।