সংবাদচর্চা রিপোর্ট
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই জেলে বন্দি হয়ে আছেন খালেদা জিয়া, এমন ভাষ্য প্রদান করার পরও আন্দোলনের আশ্বাসটুকুই প্রদান করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দিনের পর দিন চলে গেলেও তাদের ভাষ্য আর কয়েকদিন পরেই নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাবে তারা। এভাবে কোন রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। এই ভঙ্গুর অবস্থা দূর করতে না পারলে দলটির ভবিষ্যত অন্ধকার। পুরোপুরি মিথ্যা আশ্বাসে চলছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র রাজনীতি। এমনটাই মনে করছের জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তখন থেকেই দলটির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় দলীয় প্রধানের মুক্তি। তবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করছে সেটিকে যথেষ্ঠ ও কার্যকর মনে করছেন না তারা।
তাদের মতে, দিনের পরে মাস এরপর বছর গিয়ে প্রায় ১৭মাস সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখানো পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের তেমন কোন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে।
এদিকে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, আন্দোলনে পরিবর্তন আনা উচিৎ এবং নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দুর্বার আন্দোলন প্রয়োজন।
তবে দিনের পর দিন এমন মিথ্যা সান্তনা প্রকাশ করে যাচ্ছেন তারা। কবে তারা এই মিথ্যা আশ্বাস ভুলে বাস্তব আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ কারও পক্ষে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে যেতে নারাজ। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও তাদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ কোন অংশেই কমেনি। ক্ষমতায় না থাকা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের নেত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলহাজতে। যিনি এখন জেল হাজতে, এই নেত্রীই কোন এক সময় বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন।
নেত্রীর মুক্তির দাবীতে আন্দোলন গড়তে পুরোপুরি ব্যর্থ বিএনপি আর তাই দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকটি নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রয়োজন। আর তাহলেই বিএনপিতে পরিবর্তন আসতে পারে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের ভেবে দেখা উচিৎ বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহলের লোকজন।