সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মা-বাবার রুজি-রোজগার বন্ধ হওয়ায় সংসারের হাল ধরলো ১২ বছরের শিশু’ এমন শিরোনামে ২৪ এপ্রিল দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম সংবাদটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মুন্না খাঁনকে ফোন করে বলেন শিশু ইয়াছিনকে উপজেলায় আসার জন্য। শিশু ইয়াছিনকে দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার বিপ্লব হাসান নিয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম শিশু ইয়াছিনের সাথে কথা বলে তার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন। যতদিন পর্যন্ত কর্মস্থান চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত ইয়াছিনের পরিবারের খাদ্য সামগ্রী বহন করবে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি শেষ হলে তাকে উপজেলা প্রশাসনের নিজ খরচে মাদরাসায় পড়ার সুযোগ করে দিবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগমের উদ্যোগে মাস্ক বিক্রেতা ১২ বছরের শিশু ইয়াছিনের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার সামগ্রী তুলে দিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। এ বিষয়ে শিশু ইয়াছিন বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমার মা-বাবা কাজ করতে না পারায় আমরা সবাই কিছুদিন অনাহারে ছিলাম। আমার বাবা-মার কষ্ট দেখে আমি কিছুদিন লেবু বিক্রি করেছিলাম। লেবু বিক্রিতে নানান সমস্যা হওয়ায় আমি মাস্ক বিক্রি শুরু করি। তা দিয়ে কোনো মতো চলতাম। চাল নিলে ডাল নিতে পারতাম না ডাল নিলে তেল নিতে পারতাম না। আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিরদা উপজেলার বলুপপুর এলাকায়। আমরা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের টেলাপাড়া এলাকার মুজ্জাম্মেলের বাড়িতে ভাড়া থাকি। এই এলাকায় অনেকের কাছে ত্রাণ সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু লাভ হয় নাই। তবে উপজেলা প্রশাসন আমাকে ফিরিয়ে দেয় নাই। উপজেলা প্রশাসন আমার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমার হাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। তাই উপজেলা প্রশাসনকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি উনি যেন দীর্ঘজীবী হন।