আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদকের ভয়াল ছোবলে ক্ষতবিক্ষত না.গঞ্জের বেশকিছু এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার তান্ডবে বিশ্বজুড়ে সব সমিকরনই পাল্টে গেছে। তবে, একশ্রেনীর নোংড়া মানুষ যারা হরদম কালো কারবারি, হত্যা, গুম, খুন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরিসহ অসংখ্য অপরাধ করেই চলেছে। করোনা মহামারি কালেও থেমে নেই এসব পেশা শ্রেনীর মানুষগুলো।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী তৎপর হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে মাদক ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা থানা আওতাধীন এলাকার মধ্যবতি এলাকাগুলোতে গড়ে উঠেছে মাদকের বিশাল আখড়া। খানপুর, সর্দারপাড়া, তল্লা রেললাইন, হাজিগঞ্জ, চানমারি, সবুজবাগ, পশ্চিম তল্লা। মূলত উল্লেখিত এলাকাগুলোতে মাদকের হট স্পট রয়েছে। এই এলাকাগুলোতে হাত বাড়ালইে পাওয়া যাচ্ছে সকল প্রকার মরন নেশা। আরও জানা গেছে, প্রায় দেড়শতাধীক মাদক বিক্রেতা রয়েছে এখানে।এরা মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাহকের কাছে মাদক পৌছে দিচ্ছে। ঘনিষ্ঠ স্এূটি জানিয়েছে, এদের মধ্যে হত্যা সহ অসংখ্য মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত ফেরারী আসামিও রয়েছে। আর এদেরকে মাদকের বড়, বড় চালান দিয়ে জোগান দিচ্ছে নেপথ্যে থাকা পুলিশের সোর্স পরিয়ধারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানপুর সর্দারপাড়ার বেশকিছু উঠতি বয়সের যুবকরা জানিয়েছেন, এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য এলাকার মেয়েরা ঠিকমতো স্কুল কলেজে যেতে পারছেনা। এলাকার গলিতে, গলিতে বহিরাগতদের যাতায়াত বেড়েছে। যার ফলে চুরি, ছিনতাই ও হত্যার মতো জঘন্য ঘঠনা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
এ ব্যপারে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে পরিচয় হয় শাহিন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি বলেন, আমরা যে মাদক বেচি তা ঠিক। কিন্তু মাদক কিনার জন্য কোন জায়গায় যাওন লাগেনা আমাগো। মাদক ঘরে বইসাই পাওয়া যায়। আবার জাগো কাছ থেকে লই হেগো কাছ থেকে না লইলে প্রশাসনের ভয় দেখায়। পুলা পাইনরে ধরাইয়া দেয়। জাগো কাছ থেকে লই মানে, জানতে চাওয়া হলে তিনি আরও বলেন, অপরাধ জগতে ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকা এমন একজন মাদক সম্রাটের নাম । যিনি স্থানিয় ভাবে ফিলিম মানিক নামে পরিচিত। শাহিন জানায়, রেললাইনের মানিক দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ফিলিম মানিকের কাছ থেকে মাদক কিনতে না চাইলে, অথবা টাকা দিতে দেরি হলে মানিক প্রশাসনের হুমকি দেয়। এটা কিন্তু প্রশাসনের মাল ,কোন কাহিনি কইরোনা । ঘড়ের থেকে পরিবারসহ ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয় সে। পুলিশের সোর্স মাদক ব্যবসায়ী ফিলিম মানিক শাহিনের কাছ থেকে বড় ধড়নের স্বার্থ হাসিল করতে না পাড়ায়, নতুন করে প্ল্যানিং করেন অপরাধ জগতের আরেক মাদক সম্রাট গুল্লি জনিকে নিয়ে। আর ফিলিম মানিকের প্ল্যানিং মোতাবেক, গত ৪ আগস্ট শাহিনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুল্লি জনি ও তার দলবল নিয়ে হামলা চালায় শাহিনের উপর। কিন্তু অতর্কিত হামলার এ যাএায় শাহিন অল্পের জন্য বেচেঁ গেলেও শাহিনের গলায় ও বাম বুকের পাজরে মিলিয়ে ২৪টি শেলাই লেগেছে বলে জানায় শাহিন । এ ব্যপারে আহত শাহিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কোন অভিযোগ অথবা মামলা দায়ের করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শাহিনের পরিবার জানায়, আগে শাহিন সুস্থ হোক। পরে বলা যাবে আমরা কি করবো।