নিজস্ব প্রতিবেদক
মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোশনের উদ্যোগে শহরে ও সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়ার্ডের এলাকায় ফগার মেশিন মশক নিধন ঔষধ দেয়া হয়েছে। মশার ঔসধ দেয়ার মাধ্যমে নগরবাসিকে স্বস্থিতে রাখাই তাদের উদ্দেশ্য। যাতে মানুষ মশার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পায়। আর এ জন্য নাসিকের একটি টিম প্রতিদিন পরিশ্রাম করে যাচ্ছে। পাশা পাশি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছে নাসিকের মশক নিধন টিম।
শুক্রবার রাতে সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগির হোসেন হিরনের নেতৃত্বে প্রতিদিনের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকয় মশক নিধন ঔষধ দেয়া হয়। এসময় নাসিকের মশক নিধন টিম শহরের জিমখানা থেকে শুরু করে চাষাড়া হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে মশক নিধন ঔষদ দেন। একই সাথে শহরের দেওভোগ,আমলা পাড়া, কলেজ রোড এলাকায় এই ঔষদ দেয়া হয়।
সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগির হোসেন হিরণ বলেন, এই শহর আমাদের তাই একে পরিস্কার রাখার দায়িত্বও আমাদের। আমরা পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার মাধ্যমে নগরবাসিকে স্বস্থিতে রাখতে চাই। তাই রাতে ফগার মেশিনের মাধ্যমে শহরের সড়ক গুলোতে মশার ঔষধ দেয়া হয়। এ জন্য রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমাদের সিটি করপোরেশনের মশক নিধন টিম। তিনি আরো জানান, কোভিড ১৯ এর পাশা পাশি নগরীর মানুষ ডেঙ্গু মাশর আতঙ্কে থাকেন। নগরবাসির মাঝে যেন ডেঙ্গুর ভয় না থাকে তার জন্য সিটি করপোরেশনরে উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন ঔষধ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ঔষধ দেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জনের একটি করে টিম করে দেয়া হয়েছে। করোনার ভাইরাসের কারনে তা বারিয়ে ২০ জনের টিম করা হয়েছে। তারা ওই ওয়ার্ডের এলাকায় গিয়ে বাড়ির ছাদের গাছের টপে, সড়কের ওলিতে গলিতে যেখানে মশা জন্মানোর জায়গা ওই খানে মশার ঔষধ প্রদান করবে। আমাদের এ কাজ প্রতিদিন অব্যাহত থাকবে। প্রতিদিন নাসিকের ১ টি ওয়ার্ডে আমাদের টিম মশা নিধন ঔষধ দিবে। আমি বিশ্বাস করি এতে মানুষ মশার উপদ্রব থেকে স্বস্তি পাবে।
পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক শ্যামল পাল বলেন, মাননীয় মেয়র মহোদয় নগরবাসির সকলকে যার যার বাড়ি পরিস্কার রাখার কথা বলেছেন। নগরীর কনো এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি হলে আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থ্যা নিবো। এর আগে তারা ১৭,১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গিয়ে মশার ঔষধ স্প্রে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা আবুল আমিন, পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক শ্যামল পাল, মশক নিধন কমিটির সুপার ভাইজার রিপন সিকদার, সোহেল খন্দকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।