আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মদের বারের বিল্ডিং ভেঙে দিবো – মাও. আওয়াল

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় অবস্থিত প্যারাইজ ক্যাসেল ভবনের মদের বার নিয়ে শুক্রবার জুম্মার বয়ানে ডিআইটি মসজিদের খতিব ও হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, এবার আন্দোলনের মাধ্যমে মদের বারের সাথে ওই বিল্ডিংও ভেঙে দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জের এমপিসহ আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা মদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এই মদের বার বন্ধ করুন নয় তো আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণদের নিয়ে আন্দোলনে করতে বাধ্য হবো।

তিনি আরও বলেন, শহরের একটা মদের আড্ডাখানা বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। প্রশাসন কি মনে করেন? আমরা করোনার লকডাউনে সব ভুলে গেছি। নারায়ণগঞ্জের এই মদের আড্ডাখানা নিয়ে আমাদের আইওয়াশ করানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের এমপিরা আমাদের আশস্ত করেছেন এই মদের বার এখানে চলবে না। কিন্তু এখন খবর নিয়ে দেখি করোনার লকডাউনে সবাই যখন ঘুমে সেই সুযোগে তারা ফেল মদ নিয়ে জেগে উঠেছে।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, তারা রেস্টুরেন্টের নামে লোক দিয়ে পারসেলে মদ বিক্রি করছে। খবর পেয়েছি মদের বারের লোকজনরা ক্রেতা কে বলছে কখন কিভাবে কোথায় মদ দিবে তারা। মুসলমানদের সাথে তারা বার বার প্রতারণা করছে। তোমরা এতো বড় ব্যবসায়ী যে মদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কে ডুবাতে চাও। আমরা এটা মানবো না কোন লকডাউন মানবো না। এই মদের বার উচ্ছেদ করতে আবারও মাঠে নেমে যাবো।

হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আরও বলেন, এখানে অমুসলমানরা গিয়ে মদ খায়। এদের সাথে কিছু মুসলিম নামধারীরাও জড়িয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে এই মদের বার সরাতে হবে। এই মদের বার কোন মসজিদের পাশে বা স্কুলের পাশে করতে পারবে না। সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের এরকম দাবি ছিলো। কিন্তু তারা আইন নীতিমালা অমান্য করে শহরের মাঝখানে মদের কারখানা গড়ে তুলেছে। এটা নারায়ণঞ্জ থেকে অন্য জায়গায় নিতে হবে। আমরা পূর্বেই বলেছি মদের বার নিয়ে তোমরা যেখানে খুশি যাও কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহর থাকতে পারবে না। এই শহরের পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না। মুসলমান নাম দিয়ে মদের ব্যবসা করছে। মদের বার চালানোর চেষ্টা করছে। তোমরা মুসলমান নয় মুরতাব।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের প্যারাডাইস ক্যাবলসের মালিক মোবারক, মোশারফ, মজিবর ও মনির। তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় এবং ৪০ লাখ টাকা অগ্রিমে ১০ বছরের চুক্তিতে তিনটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিলো রাশেদ খান। মদের বার উদ্ধোধনের সময় বারের সংশ্লিষ্ট গাজী মুক্তার দাবি করে ছিলেন এই বারের লাইসেন্সও আছে। তবে উদ্ধোধনের কিছুদিন পরই বার বন্ধ করে দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির একটি মাসিক সভায় চাষাড়ায় মদের বার প্রসঙ্গে প্রথম বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম। এরপরই এ বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরে নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন মদের বার বন্ধের দাবি জানান। নারাণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে বারের ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন।