নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা হতে ভূয়া চাকুরীদাতা ও বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতারক চক্রের ০৮(আট) জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরণের চাঞ্চল্যকর অপরাধের স¦রূপ উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারনেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অপরাধীরা আইনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন অপরাধ করছে তার মধ্যে প্রতারণা অন্যতম। তাদের উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যে ও মানুষের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য বহুরূপী সাজে নিজেদেরকে সাজিয়ে উপস্থাপন করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে চাকুরী নিতে আসা প্রার্থীদের কে বিভিন্ন অফিস,ব্যাংক সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে কৌশলে সাধারন মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজিকরে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
গতকাল সোমবার র্যাব-২-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন, সেনপাড়া, বেগম রোকেয়া স¦রণীস্থ, মিরপুর ১০, বাসা নং-১৪৩ এর ৩য় তলা, মিরপুর সার্ভিস সেল, (গ্রামীণ সামাজিক বীমা) প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার নামে ও প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা কৌশলে আত্মগোপন করার কালে (১) মোঃ হাবিবুর রহমান @ আরিফ (৩৪), (২) মোঃ মোকলেছুর রহমান (৩২), (৩) মোঃ তানভির মাহাবুব (২৪), (৪) মোঃ মেহেদি হাসান (১৯), (৫) মোঃ রাসেল (২৭), (৬) মোঃ আবু হানিফ (২৪), (৭) মোঃ মাহামুদুল হোসেন (২৫), (৮) মোঃ ইয়াছিন (৩২) দেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে বিষয়টি এরিয়ে যায় এবং বিভিন্ন জন ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে, বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়।
পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা লাইসেন্স বিহীন একটি বীমা প্রতিষ্ঠান চালু করে ও চাকুরী প্রদান করতো। এই প্রতিষ্ঠানের ম্যনেজার (১) মোঃ হাবিবুর রহমান @ আরিফ (৩৪) দুর্বল ও অল্প শিক্ষিত ছাত্রদের টার্গেট করে এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিতো। কিছু ব্যক্তির সাথে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতরণা করতো।
বিশ্বস্থ চাকুরী প্রাপ্ত কর্মচারীদের প্রধানত কাজ ছিলো নিম্ম ও মধ্যবিত্তদের এই প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে জানানো এবং তাদের কে প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের একটি বীমার সেভিং একাউন্ট খোলানো। তাদের জানানো হতো বীমা সেভিং একাউন্টে টাকা রাখলে পরবর্তীতে দ্বিগুন টাকা পাবে। অধিক বিশ্বস্ত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জানানো হতো যে তারা অন্য ব্যক্তিদের এই প্রতিষ্ঠানে সেভিং একাউন্ট এর মাধ্যমে যোগদান করালে তাদের কমিশনের লভ্যাংশের কিছু পার্সেন্ট তারাও পাবে। এই ভাবে তারা প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো এবং পরবর্তীতে অফিস সহ উধাও হয়ে যেত বলে জানায়। ধৃত আসামীদের কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।