সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে দলের ভেতরে এবং বাইরে খেলা শুরু হয়েছে। দলীয় সুত্রের খবর জেলা বিএনপির সভাপতি পদ চাচ্ছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তার জন্য তিনি কিছু কাজও করেছেন। যার ফলে দল থেকে এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিটি নির্বাচনে তৈমূরের পক্ষে কাজ করায় মনিরুল ইসলাম রবির উপর আস্থা রাখছে না একাধিক নেতা। অপরদিকে ভারমুক্ত হতে চাচ্ছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন। তিনি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ছাড় দিতে নারাজ। সভাপতি হওয়ার জন্য তারা দুইজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেলা বিএনপির সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভোটের মাধ্যমে সভাপতি- সেক্রেটারী নির্বাচিত হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে দলটির মহাসচিবের সাথে কথা বলেছেন নাসির উদ্দিন। লন্ডনে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। অপর দিকে থানাও পৌর কমিটি নিয়ে বিতর্কে পড়েছেন মামুন মাহমুদ। আড়াইহাজার,সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁয়ে মামুনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।
এসব ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটের মাধ্যমে সভাপতি- সেক্রেটারী নির্বাচিত হবে। কাজী মনিরুজ্জামান , তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আপাতত থাকছে না। এছাড়া যারা বিতর্কিত , যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাদেরকে কমিটিতে রাখা হবে না। ত্যাগী কর্মীরা জেলা বিএনপির পদ পাবে।
তিনি আরও বলেন , উনি (মামুন) বরিশাল থেকে এসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হবে তা চলবে না। আমরা নারায়ণগঞ্জের সন্তান , আমাদের জেলার নেতৃত্ব আমরাই দিতে চাই। তবে সভাপতি ও সেক্রেটারী পদ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে।