আজ বৃহস্পতিবার, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে স্বৈরতন্ত্র চলছে : রাহুল গান্ধী

ভারতে গণপিটুনি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেওয়ায় দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, মোদি সরকারের আমলে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হতে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে।’

বন্দিপুর অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করা নিয়ে এখন তেতে রয়েছে কর্ণাটক রাজ্য। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে এ মুহূর্তে নিজের নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন রাহুল।

সেখানে ওই ৫০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘এ মুহূর্তে দেশে কী চলছে, সে ব্যাপারে প্রত্যেকেই অবগত। কোনো গোপনীয়তা নেই। এমনকি গোটা বিশ্বও জেনে গিয়েছে। ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি আমরা।’

মোদি সরকার সমালোচনা শুনতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আজকাল জেলে পুরে দেওয়া হয়। পড়তে হয় হামলার মুখেও। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।’

রাহুল আরো বলেন, ‘একদিকে ধারণা জন্মেছে যে, এক ব্যক্তিই দেশ শাসন করবেন। দেশে একটি মাত্র আদর্শ থাকবে। বাকিদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর অন্য দিকে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি এবং বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। দেশে এখন এই যুদ্ধই চলছে।’

দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, চিত্র পরিচালক মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনাগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী অপর্ণা সেনসহ মোট ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাতে বলা হয়, মুসলিম, দলিত ও সংখ্যালঘুদের এ ভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভিন্নমত থাকাটাও স্বাভাবিক বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তাঁরা। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার বিহারের মুজাফফরপুরে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়।