আজ বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাতা নয় এটা প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা :পাপ্পা গাজী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা, বিসিবি ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ,বয়স্ক ভাতা চালু করেছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এর আগে জিয়া ,এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলো তারা পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা চিন্তা করে নাই। তাদের সরকার ছিলো তারা নিজেদের বৃত্তশালী হওয়ার সরকার। দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোক ভাতা পাচ্ছে। বর্তমান বাজেটে ভাতার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি ভাতাভোগীদের উদ্দেশে বলেন, আপনার সন্তান আপনাকে ভুলে যেতে পারে, আপনার স্বামী আপনাকে পরিত্যাগ করতে পারে কিন্তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে ভুলে যায় নাই। আপনাকে ভাতা দিচ্ছে। এটা ভাতা মনে করবেন না। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালোবাসার টুকরা। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ভাতা বিতরণে দুর্নীতির সুযোগ নেই। আগামীতে মোবাইল বা ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতার টাকা চলে যাবে। সবাই ভাতার টাকার সঠিক খরচ করবেন।
রবিবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা ,ভুলতা এবং মুড়াপাড়ায় বয়স্ক ,বিধাবা, স্বামী নিগৃহিতা ভাতা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা বই বিতরণে পৃথক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপুত্র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জবাসীরা কাছে আমরা ঋণী। তারা আমার বাবা-মাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ঋণশোধ করার জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক কাজ করে যাচ্ছেন। আমার ( পাপ্পার) বাবা ভাতার জন্য মন্ত্রণালয়ে দোড়াদোড়ি করেছেন। দল দেখে আমরা ভাতা দিচ্ছে না। সকল দলের লোক এই ভাতা পাচ্ছে। যুবলীগ ছাত্রলীগের ভাইদের বলব। আমাদের সমাজে পিছিয়ে পড়া লোকদের জন্য আমরা সবাই কাজ করব। তাদের আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব। এমন একটা সময় আসবে আমরা ভাতা দেওয়ার লোক খুজে পাবো না। সেই লক্ষ্য নিয়ে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, যারা পিতা মাতাকে শ্রদ্ধা করে না । সমাজের মানুষকে অবহেলা করে। সে নিজে কিছু করতে পারবে না। আর এই ধরণের লোককে আমরা সমাজ থেকে বর্জন করব।
করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রশংসা করে তরুণ এই শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, সঠিক সিদ্ধাতে জাতির মঙ্গল হয়। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য , স্পেন, ইতালির যে দুরবস্থা হয়েছিলো বাংলাদেশে তেমন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মর্মটা কি সেটা আমাদের বুঝতে হবে। বিএনপির জামায়াত জোট সরকার যখন ক্ষমতায় তখন বই থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিলো সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণ করার। পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো যুদ্ধ করে যাচ্ছে ।
এসময় তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, মতি আকন্দ, আমির হোসেন ভুইয়া, রূপগঞ্জ থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম মনির, নজরুল ইসলাম মফিজ, আনোয়ার হোসেন , বি.এম আতিকুল ইসলাম আতিক , রাসেল শিকদার, তারাব পৌরসভার সিও নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেল, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ভুইয়া, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক, সাবেক রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ থানা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, ইউপি সদস্য রেহেনা আক্তার, রূপগঞ্জ থানা ছাত্র লীগের সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুঁইয়া মাছুম, শিক্ষিকা উমা সুলতানা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ সুবিধাভোগীদের মাঝে ভাতা এবং বই বিতরণ করেন। জানা গেছে বয়স্ক ভাতা ১২৫০ জন , বিধবা ভাতা ১০৫০ জন পেয়েছেন। প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের প্রচেষ্টায় উপকারভোগীরা এই সুবিধার আওতায় এসেছে।