আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বড় চ্যালেঞ্জ

নবকুমার:

সাদিপুর, জামপুর, নোয়াগাঁও,শম্ভুপুরা ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও সমানে টক্কর দিচ্ছে জাতীয় পার্টি। ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে এসব ইউপিতে বাড়ছে টান টান উত্তেজনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য বাড়ছে। কিছু জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝে এখন থেকে ভোটের আগের রাত পর্যন্ত ভোট কেনা বেচার শঙ্কা রয়েছে। তবে এসব অপকর্ম ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন ।

এ চার ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন সাদিপুরে আব্দুর রশিদ মোল্লা, শম্ভুপুরায় নাছির উদ্দিন, নোয়াগাঁও আব্দুল বাতেন, জামপুর ইউনিয়নে হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া। জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন জামপুরে আশরাফুল ভুঁইয়া মাকছুদ, শম্ভুপুরায় আব্দুর রউফ, সাদিপুরে আবুল হাসেম, নোয়াগাও ইউসুফ দেওয়ান।

নৌকার পক্ষে একাট্টা হয়ে মাঠে রয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান কালাম, আওয়ামী কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দীপক কুমার বনিকসহ অনেকে।

অপর দিকে জাতীয় পার্টির পক্ষে মাঠে রয়েছেন এমপি খোকার স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকত ,জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু ।
লড়াইটা জমে উঠেছে । গতকাল সারাদিন ভোট প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

শুরু থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নৌকার পক্ষে যেভাবে কাজ করেছেন শেষ পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন কিনা তা নিয়েও নানা বিশ্লেষণ হচ্ছে।
সুত্রের খবর স্থানীয় সাংসদের সাথে কিছু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সু-সম্পর্ক আছে। নানা আশ^াসে তারা লাঙ্গলের পক্ষে ডিগবাজি দিতে পারে! তবে এ বিষয় মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছে কায়সার-বিরুরা । প্রার্থীদের ব্যক্তি হিংসা বা দ্বন্দ্বকে বড় করে দেখা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা দেখার অপেক্ষা।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে , আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি এ দুই দলের মধ্যে যে দলের বেশি নেতা তাদের প্রার্থীর পক্ষে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকবে তারাই জিতবে। তবে নেতৃবৃন্দ শেষ পর্যন্ত দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকবে কিনা সেটা বড় চ্যালেঞ্জ। উল্লেখ্য আগামী ২৮ নভেম্বর সোনারগাঁয়ে ৮ টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ।

সর্বশেষ সংবাদ