আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ব্যর্থ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদল

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভ্যানগার্ড বলা হয়ে থাকে ছাত্রদল নামক সংগঠনটিকে। যেকোন আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রে ছাত্রদলের ভূমিকা অপরসীম। কেন্দ্রীয় বিএনপির অনেক নেতাদের মতে, ছাত্রদল জাতীয়তাবাদী দলের চালিকাশক্তি। অথচ সেই সংগঠনটির বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা। যেমনটা বলাচলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের ক্ষেত্রে। বর্তমান কমিটির পূর্বে অর্থ্যাৎ ২০০২ সালে মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সর্বশেষ ২০১৮ সালে মহানগর ছাত্রদলের ২৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র ঘোষিত এই কমিটির প্রায় এক বছর হতে চললেও এখানো পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। যার ফলে হতাশ দলটির মূল সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের মতে, রাজনীতির হাতেখড়ি হয় ছাত্র সংগঠন দিয়ে। যেকোন আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রে ছাত্রদলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী থাকে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অন্য যেকোন সংগঠনের চেয়ে ছাত্রদলের জোর সবচেয়ে বেশি। সুতরাং আন্দোলন সংগ্রামে তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। অথচ এই সংগঠনটির বর্তমানে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঝিমিয়ে পরেছে ছাত্রদলের রাজনীতি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর হওয়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির ইতিমধ্যেই এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত তাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রে তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এ বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ভবিষ্যতের জন্য সুখকর বার্তা নয়। যেকোন আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে ছাত্রদলকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে হবে। অথচ কমিটির এক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনো নিরব।

অন্যদিকে, গত ১৭ মাস যাবৎ কারাগারে দিন পার করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। অথচ, কারাগারে দিন পার করা এই বয়স্ক মহিলা তিনতিন বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। দেড় বছরের মতো সময়ধরে দলীয় নেত্রী কারাগারে থাকার পরেও এখানো নিরব ভ্যানগার্ড খ্যাত সংগঠন ছাত্রদল।

গত বছরের ৫ জুন সায়েদ আহমেদকে সভাপতি ও মমিনুর রহমান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৬৫ সদস্যর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে সিনিয়র সহ সভাপতি রাফিউদ্দিন রিয়াদ, সহ সভাপতি পদে ৩৩ জন, যুগ্ম সম্পাদক ২৮ জন, সহ সম্পাদক ১৮ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক মারফুল ইসলাম পাপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ২৪ জন ও সদস্য ৭৮ জন। সেই সাথে বাকিরা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে রয়েছেন।

বয়সসীমার আন্দোলনের প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতা বলেন, ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছাত্রদের রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অছাত্রদের নেতৃত্বে রেখে কোনো লাভ নেই। ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার। কিন্তু কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নেই। যার কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো হতে বিলম্ব হয়। এ কারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুযায়ি পুরস্কৃত হয় সেই সাথে আন্দোলন সংগ্রামের ইচ্ছে জাগে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও থানা কমিটিগুলোতে যাচাই বাছাই করে ছাত্রদলের কমিটি সাজালেই লক্ষে পৌছানো সম্ভব।