আজ সোমবার, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেপরোয়া মেঘনা গ্রুপের অবৈধ দখল বাণিজ্য,প্রশাসন রক্ষা করতে পারছেনা মারিখালী নদী


মাজহারুল ইসলামঃ ধারাবাহিক-ভাবে পত্রিকায় সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরেও বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দখল বাণিজ্য। ইতিমধ্যে মারীখালী নদীটির দখল বাণিজ্য নিয়ে মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বি.এম রুহুল আমিন রিমনের নির্দেশে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের তহশিলদার আঃ কাদের ও সার্ভেয়ার মশিউর রহমান সরেজমিন তদন্ত করে দখলের সত্যতার প্রমান পেয়ে ০৯ নভেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীলমোহরকৃত একটি নোটিশ জাড়ি করে।নোটিশে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ভরাটকৃত মাটি অপসারন করে দখলকৃত নদী অবমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

মারীখালী নদী দখলমুক্ত করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দিয়ে হাজার হাজার জেলে ও কৃষকের জীবন রক্ষার দাবী রয়েছে।মেঘনা গ্রুপের দখল বানিজ্য নিয়ে দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ৯ নভেম্বর মারীখালী নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশ ছিলো।১২ নভেম্বর নদী দখলের প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন।২২ নভেম্বর পর্যন্তও দখলমুক্ত হয়নি সোনারগাঁয়ের মারীখালী নদী এবং ৫ ডিসেম্বর সোনারগাঁয়ে মারীখালী নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে“শিরোনামে ফলোআপ সংবাদ প্রকাশিত হলেও রহস্যময় কারনে টনক নড়ছে না প্রশাসনের।

২৪ ডিসেম্বর রবিবার সড়েজমিন গিয়ে দেখা যায়,মেঘনাগ্রুপ দখলকৃত নদীর মাটি অপসারন করাতো দুরের কথা উল্টো প্রশাসনের নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নতুন করে বালু এবং ফ্রেশ চিনির ডাষ্ট দিয়ে পূর্বের চেয়ে প্রায় ১০০ মিটার নদীমুখ দখল করে দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তা কার্তিক বাবুকে ফোন দিলেও কলটি রিসিভ করেনা আর রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচিয় দিলে তিনি লাইন কেটে দেয়।ব্যাপারটি প্রশাসনকে জানানো মাত্রই রবিবার দুপুরে সার্ভেয়ার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে মোবাইলকোট স্পটে গিয়ে হাজির হয়।তারপর তাদের দখল বাণিজ্য ক্ষনিকের জন্য বন্ধ হলেও রাতের আধারে দখল বাণিজ্য চালিয়ে যায় মেঘনা গ্রুপের ভূমি ও জল দস্যুরা।জানা যায়,বিশেষ পেশার একজন ভূমি দস্যুর সাথে লিয়াজো করে চালিয়ে যাচ্ছে এই দখল বাণিজ্য।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) বি.এম রুহুল আমিন রিমন জানান,প্রথম নোটিশ করার পর মাটি অপসারন না করায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কোম্পানীকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জড়িমানা করেছি এবং এডি লাইন টেনে দিয়ে সমস্ত অবৈধ মাটি সড়িয়ে নিতে বলা হয়েছে।নতুন করে বালু ভরাটের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,একজন বিশেষ পেশার ভূমি দস্যু ও মেঘনা গ্রুপের জল দস্যুদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় সাধারন মানুষ।প্রশাসন তৎপর হলে কারো পক্ষেই নদী দখল সম্ভব না বলে দাবী রাখেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য যে,পিরোজপুর ইউনিয়নের শিল্পাঞ্চলে মারীখালি নদী রাতের আঁধারে মেঘনাগ্রুপ ফ্রেশ চিনির ডাষ্ট দিয়ে ভরে ফেলতো,কিন্তু প্রশাসনের দৃষ্টি যাওয়ার পরও কি করে দিনের বেলায় শুরু করছে এই অবৈধ দখল বাণিজ্য,প্রশ্ন এক সচেতন বৃদ্ধার?প্রতিরাতে আস্তে আস্তে নাব্যতা হারাচ্ছে মারিখালী নদীটি।
কোথায় আছে তার প্রতিকার?