পৃথিবীর ১২৫ দেশ ভ্রমণ করেছেন লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী মেয়ে নাজমুন নাহার। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি মহিলার বিশ্বভ্রমণের রেকর্ড গড়েন।
সুইডেন প্রবাসী নাজমুন গত সোমবার গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। পেয়েছেন সেখানকার মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা।
৪০ বছর বয়সী নাজমুনের ছোটবেলা থেকে ছিলা বইপড়ার শখ। সৈয়দ মুজতবা আলীর বই পড়েই দেশভ্রমণের স্বপ্ন জাগে তার।
২০০০ সালে বাবার প্রেরণায় ভারত দিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। এক এক করে পৃথিবীর ১২৫ দেশ ভ্রমণ করে তুলে ধরেছেন লাল সবুজের পতাকা।
তার লক্ষ্য জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৩ দেশভ্রমণের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই তিনি জাতিসংঘের অন্য দেশগুলোতেও তুলে ধরতে চান লাল-সবুজের পতাকা।
দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় তিনি কখনও গেছেন সাহারা মরুভূমি, কখনও বিপদসংকুল আফ্রিকান জঙ্গল; আবার কখনও বা সমুদ্রের তলদেশে। গত বছরের ১ জুন নাজমুন শততম দেশভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে।
তার এ মাইলফলককে সম্মাননা দিয়েছেন জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়ে না। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নরের কাছ থেকে পেয়েছেন ফ্ল্যাগ গার্ল উপাধি।
‘ইনস্পিরেশন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’ স্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন নাজমুন নাহার। তিনি দেশে বিভিন্ন স্কুলের পাশাপাশি এতিমখানা পরিদর্শন করবেন, যেখানে তিনি বাচ্চাদের তার ভ্রমণের গল্প বলবেন। তার এ বিশ্বভ্রমণে প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতাও চেয়েছেন তিনি।