নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে কঠিন সমীকরণে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে চাইলে বাকি দুই ম্যাচে ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনিকে হারাতে হবে। শুধু জিতলেই হবে না, তার সঙ্গে ওমান-স্কটল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের দিকেও নজর রাখতে হবে মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-মুশফিকদের। ওই ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডকেও জিততে হবে।
স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদি ওমান যদি জিতে যায় তবে বাংলাদেশকে পড়তে হবে রানরেটের সমীকরণ জটিলতায়। কারণ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জেতা ওমান রানরেটে এখন অনেক এগিয়ে রয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত গ্রুপের শীর্ষে থাকা ওমানের নেট রানরেট (+) ৩.৩৩৫। এছাড়া দুইয়ে থাকা স্কটল্যান্ডের রানরেট (+) ০.৩০০। এদিকে বাংলাদেশের রানরেট (-) ০.৩০০। ফলে পরের রাউন্ডে উঠতে হলে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি রানরেটের হিসাবটাও মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলে ও স্কটল্যান্ড ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারালে ‘বি’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্ব বা সুপার টুয়েলভে যাবে টাইগাররা। আর এদিকে একটি খেলায়ও যদি স্কটল্যান্ড হেরে যায় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে আসবে রান রেটের জটিল সমীকরণ। সেই ক্ষেত্রে পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কেমন ব্যবধানে জেতে তার ওপরই নির্ভর করবে রান র্যাটের হিসাব। কিন্তু ওমানের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ড হেরে গেলে বাংলাদেশের সামনে আসবে নতুন সমীকরণ। সেক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তখন বাংলাদেশের রানরেট হিসাব হবে।
এখন পর্যন্ত যেহেতু রান রেটের হিসেবে ওমান ও স্কটল্যান্ডের চেয়ে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। সেহেতু রান রেট বাড়াতে না পারলে আগামী দুই ম্যাচ জিতেও প্রথম পর্বেই শেষ হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। স্কটিশদের করা ১৪০ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৩৪ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে দুই ওপেনার চরমভাবে ব্যর্থ হন। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৬ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। রিয়াদ করেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ রানের হার নিয়ে বিশ্বকাপের শুরু হয় বাংলাদেশের।