আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারতীয় নারী দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তো বটেই, বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ১৪০-এর ঘরে আটকে গিয়েছিলেন হরমনপ্রীত কৌররা। বৃহস্পতিবারও সেই ধরনের ব্যাটিংয়েরই পুনরাবৃত্তি হল।

আগের দুটি ম্যাচের মতো এ দিনও শুরুতেই ব্যাটে ঝড় তোলেন শেফালি বর্মা। যদিও ব্যর্থ হন স্মৃতি মন্ধনা। চোট সারিয়ে ফিরে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তিন নম্বর ব্যাট করতে নামা তানিয়া ভাটিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসকে থিতু করেন শেফালি।

কিন্তু তানিয়া আউট হওয়ার পরেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিং। এ দিনও রান পাননি অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। খুব মোক্ষম একটা সময়ে এসে ফর্ম হারিয়েছেন হরমন। তিনি রান পেলে ভারত এমনিতেই দেড়শো-১৬০ করে ফেলতে পারে।

শুধু হরমনপ্রীতই নন, এ দিন রান পাননি জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা এবং বেদা কৃষ্ণমূর্তি। শুধুমাত্র শিখা পাণ্ডে আর রাধা যাদবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্য ৮ উইকেটে ১৩৩ করে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে হাত খুলতেই পারেননি নিউজিল্যান্ড। বিপক্ষের ব্যাটিংয়ের টুঁটি চেপে ধরে ভারত। তবে একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ভারত অনায়াসে ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের এমেলিয়া কারের ঝোড়ো ব্যাটিং হরমনদের ওপরে কিছুটা চাপ তৈরি করে দেয়।

পুনম যাদব এ দিন চার ওভার হাত ধুরিয়ে ৩২ রান দেন। এর মধ্যে ১৮ রানই আসে ম্যাচের উনিশতম, অর্থাৎ পুনমের শেষ ওভারে। সেই ওভারের দৌলতে শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬। ভারতীয় দলের একমাত্র পেসার শিখা পাণ্ডে, সেই রান বাঁচিয়ে জয়ে এনে দেন দেশকে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য এ দিনও ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান শেফালি বর্মা। এই জয়ের ফলে ভারত শেষ চারে উঠে গেল।