টি.আই.আরিফ:
তারা এক সময় বিএনপির দাপুটে এমপি ছিলেন। নারায়ণগঞ্জকে কাপিয়েছেন। কার আগে কে তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করবে সেই প্রতিযোগিতা ছিলো তাদের মধ্যে। দলের কমিটি গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দলে তাদের গুরুত্ব ছিলো অনেক। এখন তাদের গুরুত্ব কমে গেছে। দলের অনেক কিছুতেই তাদের মতামত নেওয়া হয় না। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করা হলে বিএনপির সাবেক এমপিদের জিগায় না। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন ৫টি থানা ও ৫ টি পৌরসভার বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও তার সমর্থকদের রাখা হয়নি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের অনুগতরা অধিকাংশ পদ পেয়েছেন।
আড়াইহাজার থানা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে বিএনপির তিনবারের এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও তার সমর্থকদের রাখা হয়নি। আড়াইহাজার থানা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে দলটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুগতরা একতরফা পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। সোনারগাঁ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে এই অবস্থা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে সাবেক এমপি আবুল কালামের কি হয় তা এখন দেখার অপেক্ষা। সুত্রের খবর নগর কমিটি নিয়েও খেলা হচ্ছে। এছাড়া গেল সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাবেক এমপিরা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়। অন্য দলের ২জন প্রার্থীকে সমর্থন দেয় বিএনপি।
এসব ব্যাপারে গতকাল বিএনপির সাবেক এমপি (আড়াইহাজার) আতাউর রহমান আঙ্গুর সংবাদচর্চাকে বলেন, আমি বিএনপির ৩ বারের এমপি। কমিটি গঠনের ব্যাপারে আজাদ,মামুন মাহমুদ আমাকে জিগায় না। আমার কোনো কর্মীকে কমিটিতে রাখা হয়নি। আমরা যে বিএনপির এমপি ছিলাম তারা ভুলেই গেছে। তারপরও আমরা দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।