আজ বুধবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাড়ি করতে কাউন্সিলর ওমর ফারুককে দিতে হয় ১০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে শহরের নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
বঙ্গবন্ধ কর্মজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি চান মিয়া বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ৪ কাটা জায়গায় কোন ব্যক্তি বাড়ি করতে হলে কাউন্সিলর ওমর ফারুককে ১০ লাখ টাকা চাদাঁ দিতে হয়। একই সাথে বাড়ি র্নিমানের মালামাল রড সিমেন্ট বালুসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তার কাছে কিনতে বাধ্য করে। কোন মানুষ নিজের ইচ্ছা মত বাড়ি করতে পারে না। অন্যথায় তিনি বাড়ি র্নিমানের কাজ বন্ধ করে দেন। সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের মাদক ব্যবসা এই কাউন্সিলরের হাতে নিয়ন্ত্রাধীন।

তিনি আরো বলেন, এই ওমর ফারুকের বাহিনী আমার ফ্যাক্টরীতে চাদাঁ চাইতে আসে তখন তাদের চাদাঁ না দেয়ায় আমার ফ্যাক্টরির দারোয়ানকে মাইর ধর করে।

চান মিয়া কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ড্রেন নির্মান কাজে বিভিন্ন অনিয়ম করেন। আমি তার প্রতিবাদ করায় সে আমার ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই এলাকা দিয়ে সড়ক নির্মান করা স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সড়কটির পাশে আমার ২ টি বাড়ি থাকায় ওমর ফারুক জনপ্রতিনিধি হয়েও তাতে বাধা প্রদান করে। পরে জন স্বার্থে মেয়র আইভি তা করার উদ্যোগ নেন। এবং সড়কটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ ফুট প্রশস্থ ও ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য আরসিসি ঢালাই সহ ড্রেন নির্মান কাজের টেন্ডার পান মেসার্স কামাল ট্রেডার্স। রাস্তার দুই পাশের বাড়ির লোজনের পক্ষে হতে ৬ ফিট করে দেয়ার কথা হলেও তারা সকলের সম্মতি ক্রমে আমার নিকট থেকে ৮ ফিট নেন। আমিও দেই। কিন্তু আমার অপর সাইডে রফিকুল ইসলামের নিকট হতে ৪ ফিট নেয়ার কথা থাকলেও তারা  ২ ফিট নিয়ে আমার থেকে আরো ২ ফিট নিতে চাচ্ছে। কাউন্সিলর ওমর ফারুক রফিকের সাথে আতাত করে আমার বাড়ি বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গার কথা বলেন। আমি তার প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাতে থাকেন। একজন জন প্রতিনিধি হয়েও সে কি করে জনগনের বিরুদ্ধে কাজ করে।