আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বস্ত্র দিবসের র‌্যালিতে অংশ নেবে মন্ত্রী গাজী

জাতীয় পাট দিবসের ন্যায় এবার ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত অংশগ্রহণে সারা দেশে বুধবার (৪ ডিসেম্বর)  প্রথমবারের মত জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপিত হবে । এ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজন করা হয়েছে । জাতীয় বস্ত্র দিবস  উপলক্ষে  বুধবার  জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে । আগামীকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ “জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯” উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং বস্ত্রখাতের সকল অংশীজনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে । র‌্যালিতে অংশ নেবে  নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ।

এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ঢাকায় বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।  এ অনুষ্ঠানে বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে ।

উল্লেখ্য, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড একটি গুরুপ্তপূর্ণ খাত । বর্তমান সরকার ‘ভিষণ-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করনীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে “বস্ত্রনীতি-২০১৭” এবং “বস্ত্র আইন-২০১৮” প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করাসহ উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্রখাতের রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ,সমৃদ্ধ,সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।