আজ শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্ধ হয়নি পাসপোর্টের দালাল দৌরাত্ম্য

we‡kl cÖwZ‡eK : GL‡bvvjvj gy³ n‡Z cv‡iwb bvivqYM‡Äi AvÂwjK cvm‡cvU© Awdm| Gevi ‡mB P‡µi yBRb g~j‡nvZvmn 14 Rb‡K ‡MÖßvi K‡i‡Q i¨ve-11| hwI GiAv‡M GKwU Awfhv‡b 16Rb vjvj‡K ‡MÖßvi ‡k‡l msev m‡¤§jb K‡i RwoZ Ab¨‡i‡KI AvB‡bi AvIZvq Avbv n‡e e‡j Avk¦¯Í K‡iwQ‡jb AwZwi³ cywjk mycvi Avwgi Lmiæ| wKš‘ Gici ‡_‡K 5 gv‡mI g~j ‡nvZv KvD‡K ‡MÖßvi Ki‡Z cv‡iwb ‡Rjv cywjk| Gw‡K Awfhvb nIqvi c‡iB mvaviY MÖvnK‡i gv‡S ¯^w¯Íix©N wb:k¦v‡mi †Lv wg‡j| Z‡e ‡Kvbfv‡eB ‡VKv‡bv hv‡”Qbv Zv‡i Kvh¨©µg| Avi vjvj Qvov Kg©Pvixiv KvRI K‡i bv, Avevi A‡bK MÖvnK Gme Kv‡Ri wel‡q ‡Kvb AwfÁZv bv _vKvq cvm‡cvU© Awd‡mi Kv‡iv mn‡hvMxZv bv ‡c‡qvjv‡ji Là‡i co‡Q Ggb vex fy³‡fvMx‡i|
cvkvcvwk Kv‡iv Kv‡iv Awf‡hvM, cvm‡cvU© Awd‡m K©giZ‡i mv‡_ K_v ejvI gykwKj| ‡KD ‡KD K_v ej‡Z ‡M‡j wei³ n‡q hvq| i‡q‡Q KL‡bv KL‡bv ivMvwš^Z n‡q D‡V gvigywL nIqviI Awf‡hvM| ZvB Gme wel‡q mswkøó‡i bRivix Pvq mvaviY MÖvnK| GQvovI MÖvnK‡i A‡b‡Ki gv‡SB cÖkœ D‡V‡Q, GB Kw_Z vjv‡ji mv‡_ ‡hvMmv‡Rvk K‡i weKí cÖš’¨vq cvm‡cvU© ‰Zix‡Z mn‡hvMxZv w‡q myweav wb‡Zv Kviv ? ‡m¸wj ‡hb Rbm¤§y‡L Avbv nq|
‡Mj e…n¯úwZevi (16 gvP©) ycy‡i MYgva¨‡g cvVv‡bv GK msev weÁw߇Z i¨ve-11 Gi mnKvix cwiPvjK GGmwc ‡gv. wiRIqvb mvCwRKy Rvbvb, dZyjøvq Awfhvb Pvwj‡q cvm‡cvU©vjvj P‡µi yBRb g~j‡nvZvmn 14 Rb‡K ‡MÖßvi K‡i‡Q Zviv| G mgq Zv‡i ‡ndvRZ n‡Z 22wU cvm‡cvU©, cvm‡cvU© ‡Wwjfvwi ¯øxc- 487 Kwc, GbAvBwW KvW© 19 wU, ivevi mxj 8wU, ‡gvevBj ‡dvb 20 wU Ges 31wU mxg D×vi Kiv nq|
‡MÖßviK…Ziv n‡jv- g~j‡nvZv ‡gv. gyKyj ‡gvjøv (30) I ‡gv. mvBdyj Bmjvg (28) Ges Zv‡i mn‡hvMx ‡gv.ivwKe (25), ‡gv. AvjgMxi (32), ‡gv. bexb (18), ‡gv. kwdKyj Bmjvg ivbv (35), ‡gv. mvLv‡qZ Djøvn (30), ‡gv. kwdKyj Bmjvg (45), Bgivb ‡nv‡mb myRb (34), ‡gv. wmivR DwÏb mvRy (39), nvmvb BKevj (36), ‡gv. Rvwn (45), ‡gv. gwdRyj (35), ‡gv. mwRe (32)|
wZwb Rvbvb, dZyjøv vbvaxb mvBb‡evW© msjMœ evsjv‡k beRvZK nvmcvZv‡ji cv‡k© mvgvevby fe‡bi wØZxq Zjvq gv wWwRUvj Kvjvij¨ve bvgK ‡vKvb Gi mvg‡b Ges Z…lv Avk© K‡c©v‡ikb gv‡K©U GjvKvq Awfhvb Pvwj‡q Zv‡i ‡MÖßvi Kiv nq| Zviv mK‡jBxN©wb hver ci¯úi ‡hvMmvR‡k wewfbœ ‡jvKR‡bi wbKU ‡_‡K cvm‡cvU© ‰Zix K‡i ‡Iqvi bvg K‡i cÖZviYvi gva¨‡g ‡eAvBwbfv‡e A‡b¨i cvm‡cvU© wb‡R‡iL‡j ‡i‡L wecyj cwigvY UvKv nvwZ‡q wb‡Zv| wewfbœ _vbvi wWDwU Awdmv‡ii mxj e¨envi K‡i f~qv KvMRcÎ ‰Zixi gva¨‡g gvby‡li mv‡ cÖZviYv K‡i Avm‡Q|
cÖm½Z, ‡Mj eQ‡ii A‡±ve‡i cvm‡cvU© Awd‡mi mvg‡b ‡‡K vjvj P‡µi 16 Rb‡K ‡MÖßvi K‡iwQj ‡Rjv ‡Mv‡h›v cywik| IBmgq vjvj Pµ‡i ‡MÖßvi Kivi ci msevm‡¤§j‡b AwZwi³ cywjk mycvi (Aciva) Avwgi Lmiæ Rvwb‡qwQ‡jb,xN©wb hveZ AvÂwjK cvm‡cvU© Awdm mvg‡bvjvj PµwU cvm‡cvU© K‡i ‡qvi K_v e‡j miKvwi ivR¯^ ‡_‡KI K‡qK ¸Y UvKv ‡ewk wb‡q wbixn cvm‡cvU©avix‡i nqivwb K‡i Avm‡Q| Zviv e¨vsK, cywjk mn wewfbœ ߇ii ¯^v¶i Ges mxj bKj K‡i ÷¨v‡¤úi gva¨‡g cvm‡cvU© ‰Zwi Kvh©µg cwiPvjbv K‡i| ‡Mvcb msev‡i wfwˇZ Zv‡i‡K ‡Mßvi Ki‡j Rã Kiv nq wecyj cwigvb cvm‡cvU©, bKj mxj, bM UvKv I wjjmn wewfbœ miÄvg| GgbwK Zv‡i mv‡ RwoZ Ab¨‡i‡KI AvB‡bi AvIZvq Avbv n‡e e‡j wZwb Avk¦¯Í K‡iwQ‡jb| Z‡e Gici ‡Rjv cywj‡ki c‡¶ Avi ‡Kvb g~j ‡nvZv‡i ‡MÖßv‡ii NUbv ‡Lv hvqwb| G wel‡q Rvb‡Z cvm‡cvU© Awd‡mi Dc cwiPvjK gvngyyj nvmvb‡K 017333….. (Awdwmqvj I‡qf mvB‡U †qv) bv¤^v‡i GKvwaKevi Kj †qv n‡j ms‡hvM ¯’vcb bv nIqvq †Kvb e³e¨ cvIqv hvqwb|

বিশেষ প্রতিবেদক :

এখনো দালাল মুক্ত হতে পারেনি নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এবার সেই চক্রের দুইজন মূলহোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। যদিও এরআগে একটি অভিযানে ১৬জন দালালকে গ্রেপ্তার শেষে সংবাদ সম্মেলন করে জড়িত অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু। কিন্তু এরপর থেকে ৫ মাসেও মূল হোতা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি জেলা পুলিশ।

এদিকে অভিযান হওয়ার পরেই সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে স্বস্তির র্দীঘ নি:শ্বাসের দেখা মিলে। তবে কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা তাদের কার্য্যক্রম। আর দালাল ছাড়া কর্মচারীরা কাজও করে না, আবার অনেক গ্রাহক এসব কাজের বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় পাসপোর্ট অফিসের কারো সহযোগীতা না পেয়ে দালালের খপ্পরে পড়ছে এমন দাবী ভুক্তভোগীদের।

পাশাপাশি কারো কারো অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসে র্কমরতদের সাথে কথা বলাও মুশকিল। কেউ কেউ কথা বলতে গেলে বিরক্ত হয়ে যায়। রয়েছে কখনো কখনো রাগান্বিত হয়ে উঠে মারমুখি হওয়ারও অভিযোগ। তাই এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজরদারী চায় সাধারণ গ্রাহক। এছাড়াও গ্রাহকদের অনেকের মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে, এই কথিত দালালের সাথে যোগসাজোশ করে বিকল্প প্রন্থ্যায় পাসপোর্ট তৈরীতে সহযোগীতা দিয়ে সুবিধা নিতো কারা ? সেগুলি যেন জনসম্মুখে আনা হয়।

গেল বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট দালাল চক্রের দুইজন মূলহোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ২২টি পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লীপ- ৪৮৭ কপি, এনআইডি কার্ড ১৯ টি, রাবার সীল ৮টি, মোবাইল ফোন ২০ টি এবং ৩১টি সীম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মূলহোতা মো. মুকুল মোল্লা (৩০) ও মো. সাইফুল ইসলাম (২৮) এবং তাদের সহযোগী মো.রাকিব (২৫), মো. আলমগীর (৩২), মো. নবীন (১৮), মো. শফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), মো. সাখায়েত উল্লাহ (৩০), মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), ইমরান হোসেন সুজন (৩৪), মো. সিরাজ উদ্দিন সাজু (৩৯), হাসান ইকবাল (৩৬), মো. জাহিদ (৪৫), মো. মফিজুল (৩৫), মো. সজিব (৩২)।

তিনি জানান, ফতুল্লা থানাধীন সাইনবোর্ড সংলগ্ন বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের পার্শে সামাদবানু ভবনের দ্বিতীয় তলায় মা ডিজিটাল কালারল্যাব নামক দোকান এর সামনে এবং তৃষা আদর্শ কর্পোরেশন মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সকলেই দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে বেআইনিভাবে অন্যের পাসপোর্ট নিজেদের দখলে রেখে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো। বিভিন্ন থানার ডিউটি অফিসারের সীল ব্যবহার করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।

প্রসঙ্গত, গেল বছরের অক্টোবরে পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে দালাল চক্রের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা গোযেন্দা পুরিশ। ওইসময় দালাল চক্রদের গ্রেপ্তার করার পর সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন যাবত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সামনে দালাল চক্রটি পাসপোর্ট করে দেয়ার কথা বলে সরকারি রাজস্ব থেকেও কয়েক গুণ টাকা বেশি নিয়ে নিরীহ পাসপোর্টধারীদের হয়রানি করে আসছে। তারা ব্যাংক, পুলিশ সহ বিভিন্ন দপ্তরের স্বাক্ষর এবং সীল নকল করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি কার্যক্রম পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গেপ্তার করলে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান পাসপোর্ট, নকল সীল, নগদ টাকা ও দলিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এমনকি তাদের সাথে জড়িত অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে আর কোন মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মাহমুদুল হাসানকে ০১৭৩৩৩….. (অফিসিয়াল ওয়েভ সাইটে দেয়া) নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলে সংযোগ স্থাপন না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।