নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দর সেন্ট্রাল ঘাটের পূর্ব-পশ্চিম পাড়ে দখলের মহাৎসব চলছে। যে, যেখানে খালি জাগয়া পাচ্ছে সেখানে দোকান ঘর, টং, বাশঁ দিয়ে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে যে যার ইচ্ছামতো দোকানঘর নির্মান করে কেউ কাচাঁ তরকারীর ব্যবসা, কেউ মাছের ব্যবসা , কেউ ফলের, কেউ মুরগী কেউবা সেল ফোনের ফ্লাক্সি লোডের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেন্ট্রাল ঘাটে দোকান বসানোর জন্য কারো কাছ থেকে কোন বৈধ্য পারমিশন এর দরকার হয়না।
এই জায়গার মালিকানা সরকারি প্রতিষ্টান বিআইডব্লিউটিসি। এই বআইডব্লিউটিসি সরকারী সংস্থা দোকান করার জন্য কাউকে পারমিশন দেয়নি। কিছু রাজনৈতিক নামধারী নেতা, বিআইডব্লিউটিসির কতিপয় অসাধূ কর্মচারী এবং কিছু প্রশাসনের অসৎ কর্মচারীর কারণে যে যার ইচ্ছামত পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সরজমিনে সেন্ট্রাল ঘাটের পূর্বপাড়ে দেখা যায় যে, সেখানে বৃহৎ আকারে মাছের বাজার, সবজির দোকান, মুরগীর দোকান, চায়ের টংএর দোকান, মোবাইলের ফ্লাক্সি লোডের দোকান, ফলের ব্যবসা এছাড়াও রিক্সা ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে। বিআইডব্লিউটিসি যাত্রীদের জন্য যে ছাউনি নির্মান করেছে সেখানেও পসরা সাজিয়ে বসেছে এবং পশ্চিম পাড়ে দেখা যায় যে, ওয়াক ওয়ের কিছু অংশ কাটাঁ তার এর বেড়া কেটে চায়ের টং, আখের রস এর দোকান, ফলের দোকান, মোবাইলের ফ্লাক্সি লোডের দোকান, , ভাতের হোটেল বসিয়ে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য কারো কাছে তাদের জবাবদিহি করার দরকার হয়না। শুধু নিয়ম-মাফিক চাঁদা দিলেই চলে। আর এই সমস্ত ব্যবসার যে, ময়লা-আবর্জনা বের হচ্ছে তা দেদারসে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলছে এবং এর ফলে নদী দূষিত হচ্ছে। অথচ এই
সেন্ট্রাল ঘাট দিয়ে প্রতিদিন এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষাধিক লোক নদী পারাপার হয়। তাদের নিরাপদে হেঁটে পূর্ব-পশ্চিম পাড়ে জেটি থেকে নিরাপদে গন্তব্য পৌছানোর জন্য কোন খালি জায়গা নেই। যাত্রীরা চাপাচাপি করে ভীড় ভেঙ্গে যাতায়াত করছে। এ ব্যপাওে কোন প্রতিবাদ করলে উল্টো অবৈধ্য ব্যবসায়ীরা মারমখী হয়ে আসে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যাবেলা যাত্রীদের চাপে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। আর এর শিকার হচ্ছে বেশিভাগই মহিলা এবং বয়স্ক যাত্রীরা এবং অসুস্থ রোগীরা।
ভীড়ের মধ্যে অনেক মহিলা যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিআইডব্লিউটিসি লোক দেখানো উচ্ছেদ চালোনো হলেও তদারকির অভাবে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। নারায়ণগঞ্জ ৫আসানের জনপ্রিয় সাংসদ একেএম সেলিম ্ওসমান যাত্রীদের নিরাপদ নদী পারাপারের জন্য এই ঘাটে নিজ উদ্যোগে টোল ফ্রি করে দেয় এবং ৫টি ফ্রি ট্রলার এর ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু শুধুমাত্র অসাধূ কিছু রাজনৈতিক নেতা, বিআইডব্লিউটিসির কতিপয় অসাধূ কর্মচারী এবং কিছু প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তা -কর্মচারীর কারণে তা ভেস্তে যাচ্ছে। অনেক যাত্রীর সাথে এ ব্যপারে কথা বললে তারা এ ব্যবারে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তারা যেন নিরাপদে নদী পারাপার হয়ে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌছেতে পারে সেই ব্যবস্থা করার জন্য বলে। অনেকে আবার মনে করে যে, সামনে জাতীয় নির্বাচন ভোটের রাজনীতিতে অবৈধ্য দখলাদারদের বিরুদ্ধে এখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা। যাই হোক না কেন লক্ষাধিক যাত্রীদের নিরাপদ পারাপারের জন্য অবশ্যই এ ব্যাপারে অতিশ্রীঘই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করে যাত্রীসাধারন।