আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির নয়া কৌশল

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বন্দর উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আগামী ১৮ জুন এ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।  নির্বাচনে কে সামনে রেখে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে বিএনপির মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির একটি অংশ বন্দর উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে রয়েছে।আরেকটি অংশ না যাওয়ার পক্ষে রয়েছে। এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় তারা বন্দর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না। তবে একটি বিশেষ সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী দেবে ।

দলটির নেতারা নতুন কৌশল অবলম্বন করবে। যেই বন্দর উপজেলার প্রার্থী হোক না কেন তাকে ধানের শীর্ষ প্রতীক দেবে না। অন্য প্রতীকে লড়বেন বিএনপির প্রার্থী। আশঙ্কা করা হচ্ছে সোনারগা উপজেলা নির্বাচনের মতো বন্দরে বিএনপির নেতাকর্মীরা  ব্যালট পেপারে খালেদার মুক্তি সম্বলিত সিল মারতে পারেন। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে । আওয়ামী লীগ কে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না জাতীয় পার্টি।

এখানে জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থী রয়েছে। বন্দরে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের ভোট বেশি  তবে ফ্যাক্টর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

এদিকে বন্দর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার সাথে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের গোপন আতাত রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে মুকুল লাঙলের নির্বাচন করেছে  উপজেলা নির্বাচনে সেলিম ওসমানের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য। বিএনপিও চাইছে ক্ষমতাসীন দলের কাছে থেকে সুবিধা নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদ নিজেদের দখলে রাখতে। আর সেই চেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য আতাউর রহমান মুকুল কে বেছে নিয়েছে বিএনপির নেতারা। তারা পরোক্ষ ভাবে মুকুল কে স্বতন্ত্র প্রার্থী করবে। প্রকৃত পক্ষে মুকুলের উপর সমথন থাকবে বিএনপির।

জানা গেছে এটা তাদের সমসাময়িক রাজনীতির কৌশল। কারণ এখন যদি মুকুল কে ধানের শীর্ষ প্রতীক দেয় তাহলে যে সকল উপজেলা নির্বাচনে ভোট বর্জন করছে বিএনপি তা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত প্রমাণিত হবে। সেই ভয়ে বিএনপি বন্দরে মুকুল কে ধানের শীষ প্রতীক দেবে না। অন্য প্রতীকে নির্বাচন করবে। আর জনগণ কে দেখাবে তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন বর্জন করেছে।  বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হলে তাহলে বিএনপি নেতারা বলবে জনগণ আওয়ামী লীগ কে বর্জন করেছে আর যদি আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় তখন বিএনপি বলবে ভোটকারচুপি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী  মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ মে, যাচাই-বাছাই ২৩ মে, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৩১ মে। প্রতীক বরাদ্দেন দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।