নিজস্ব প্রতিবেদক:
বদলে যাচ্ছে সিটি নির্বাচনের ভোটের সমীকরণ। গত ১০ জানুয়ারি শামীম ওসমান আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নৌকাকে বিজয়ী করার ঘোষণা দিয়েছেন। দলীয় চাপে এখন নৌকার পক্ষে কথা বললেও শেষ পর্যন্ত সে নৌকার পক্ষে থাকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। গেলবারের মতো এবারও যদি ওসমানরা আইভীর পক্ষে থাকে তাহলে নৌকাকে ডুবানো যাবে না।
অপরদিকে দিকে তৈমূর শিবির কিছুটা হতাশ। তারা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে। উত্তরপাড়ার লোকেরা তাকে নির্বাচনে দাঁড় কড়ালেও এখন তাদের ভেটো দেওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে নগরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার। তার দলসহ বিরোধী দলের নেতারা তাকে সাপোর্ট করছে। জাতীয়পার্টির ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যানও তার পক্ষে গণসংযোগ করে। এরপর থেকে নগরবাসী বলছে শামীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকার। আইভী বলছে গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী তৈমূর।
শেষ পর্যন্ত তৈমূর আলম খন্দকার ভোটের মাঠে থাকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর গতকাল শামীম ওসমান বলেন ‘বিএনপির মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বলবো, আপনি আপনার কথা বলেন। নারায়ণঞ্জে হাতি নৌকা ডুবিয়ে দিতে পারবে না। এত ক্ষমতা নারায়ণঞ্জে বিএনপির নাই। আমরা হাতি কাঁধে নিয়ে দৌড় দিব, কিন্তু নৌকায় উঠতে দিবো না। নৌকা অস্তিত্বের প্রতীক। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি সংসদ সদস্য। আমি বলবো না, ওই প্রার্থীকে ভোট দেন। সেটা ঠিকও হবে না। আমি নিজেও আইনের ছাত্র। কেমন করে ভালো রেজাল্টও করে ফেলেছিলাম, জানি না। যাই হোক, কপালে যার লেখা থাকবে, জনগণ যাকে ভোট দিবে; সে-ই জয় পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় পরিবার, এখানে রাগ থাকবে, অভিমান থাকবে। গালি, মামলা সব ভুলে যেখানে যাওয়ার দরকার গিয়েছি, দাওয়াত দিয়েছি। আমি মানুষ, রোবট না। আমারও খারাপ লাগে। আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের প্রেস কনফারেন্স এটা।’