আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নেই শ্লোগানে, চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ

বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নেই

বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নেইসংবাদচর্চা ডেস্ক:

চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।  ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

এক ঘণ্টার ওই কর্মসূচিতে শত শত শিক্ষার্থী স্লোগান ও হাততালি দিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা বিভিন্ন প্লাকার্ডে ও স্লোগানে স্লোগানে তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেছেন। প্লাকার্ডগুলোয় লেখা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১০%-এর বেশি কোটা নয়’, ‘নিয়োগে অভিন্ন কাট মার্ক নিশ্চিত কর’। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই, সংস্কার চাই’।

কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো: কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী জানান, কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় ২৮তম বিসিএসে ৮১৩ জনের পদ শূন্য ছিল। একইভাবে ২৯তম-তে ৭৯২ জন, ৩০তম-তে ৭৮৪ জন, ৩১তম-তে ৭৭৩ জন, ৩৫তম-তে ৩৩৮ জনের পদ শূন্য ছিল। এই শূন্য পদ না রেখে সেখানে মেধা থেকে প্রার্থী নিয়োগের দাবি তাঁর।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ৫৬ শতাংশ কোটা থাকায় সাধারণ চাকরি-প্রত্যাশীরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। এরপরও বিভিন্ন সময় কোটায় বিশেষ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যেমন: ৩২তম বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে বিশেষ কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকা সত্ত্বেও তিনি এই কোটা চান না। এমনকি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় তিনি ওই কোটায় আবেদন করবেন না।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁদের চারজনের একটি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে কোটা সংস্কারের জন্য একটি আবেদনপত্র দেবেন। আগামী ৩ মার্চের মধ্যে যদি তাঁদের ওই দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ৪ মার্চ আবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করবেন তাঁরা।