আজ বুধবার, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বক্তাবলীতে গণহত্যায় নিহতদের শ্রদ্ধা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বক্তাবলী গণহত্যা দিবস ২৯ নভেম্বর । ১৯৭১ সালের এই দিনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে ১৩৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। একই সঙ্গে গানপাউডার ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেয় ২২টি গ্রাম।


বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল বক্তাবলী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই জায়গাটি নিরাপদ হিসেবে বেছে নেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। এখানে ঘাঁটি বানিয়ে চলে প্রশিক্ষণের কাজ। এখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় অভিযান। গ্রামবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজাকাররা এ খবর পৌঁছে দেয় হানাদার বাহিনীর কাছে।


১৯৭১ সালের এই দিনে ভোরে হানাদার বাহিনী ঘিরে ফেলে বক্তাবলী। মুক্তিযোদ্ধারাও গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। চার ঘণ্টা চলে সম্মুখযুদ্ধ। একপর্যায়ে পিছু হটে হানাদার বাহিনী। তবে যাওয়ার আগে তারা বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং নিরস্ত্র ১৩৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে। বক্তাবলী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।

দিনটি স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রবিবার ( ২৯ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পরে বক্তাবলী গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দোয়া ,আলোচনা সভা ও কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে ১৯৭১ সালে ২৯নভেম্বর ১৩৯জন শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের ঠিক শেষের দিকে এসে হঠাৎ ভোররাতে ঘরবাড়িতে গানপাউডার আগুনদেয় এবং গণহত্যা করে পাক বাহিনী। ঢাকা এবং মুন্সীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা এই বক্তাবলীতেই আশ্রয় নিতেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক,ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন প্রমুখ।