নিজস্ব প্রতিবেদক: মোল্লা সল্টের মালিক খবির উদ্দিন মোল্লা এবং সুপার স্টার ব্লাবের মালিক ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বহুদিন থেকেই অভিযোগ ওঠে আসছিলো জামায়াত শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতার। তবে, এবার সরাসরি একটি মামলায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই দুইজনসহ ৬জনকে লিখিতভাবে অন্তর্ভূক্ত করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ফতুল্লায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১০৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে যাচাই বাছাই শেষে ৬৫জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় কাউন্সিলর খোরশেদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম নূরুল ইসলাম ও মহানগর যুবদল নেতা রাশিদ হোসেন রশোকে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে।
এদিকে এ মামলায় জামায়াত শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করার নেপথ্য কারিগর হিসেবে খবির উদ্দিন মোল্লা ও ইব্রাহিমসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর চারজন হলেন, দাপা ইদ্রকপুর খোজপাড়া এলাকার ডা. আলী আশরাফ, লালপুর এলাকার সৈয়দ নুরুদ্দিন আহম্মেদ খুশি, লালপুর পৌষা পুকুরপাড় এলাকার ডা. মানিক ও মো. খলিলুর রহমান।
মামলায় দাবি করা হয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে তারা জামায়াত শিবিরকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে অর্থ সরবারহ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। সম্প্রতি তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ড ও গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের অর্থ সরবারহ করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের জানান, তাদের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোচনায় আসেন খবির উদ্দিন মোল্লা ও ইব্রাহিম হোসেন। সেসময় শহরে জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয়। সেসময় বলা হতো, ইব্রাহিমের আমলাপাড়া বাড়িতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে শিবিরের লোকজন অবস্থান নিতেন এবং নামাজের ওয়াক্তে তারা আমলাপাড়ার গলি দিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে নুর মসজিদে চলে যেতেন। পরে সেখান থেকেই নাশকতায় অংশ নিয়ে আবারও একই গলি ধরে ইব্রাহিমের সহযোগিতায় সরে যেতেন বলেও গুঞ্জন ছিলো। তবে, এতোদিন কোনো মামলায় তাদেরকে আর সম্পৃক্ত করা না হলেও এবার তারা দুটি মামলায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিযুক্ত হন।