আজ শনিবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত

সৈয়দ মো: রিফাত

আজ পহেলা ফাল্গুন। নাগকেশর, কনকচাপাঁ, শিমুল আর পলাশ ফুটেছে। এমনিকরেই প্রকৃতিকে নতুন করে সাজাতে চলে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। এখনো পুরোপুরি শীতের বিদায় হয়নি। তার মধ্যেই বসন্তের আগমন। আর কবির ভাষায় ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত। এরই মধ্যে বন-বনান্তে কাননে পারিজাতের রঙের দোলা। তার সাথে সাথে শুকনো পাতায় ভর করে আমাদের মাঝে আগমন ঋতুরাজ বসন্তের। শিমুল বন আর ফুলের মেলা কার না ভালো লাগে। আজ বুধবার ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিন। ঋতুচক্র এখন যেন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না ঠিকই, কিন্তু বসন্ত তার আগমনী জানান দেয় ইট-কাঠ পাথরের শহরে কোকিলের ডাক না শোনা গেলেও-এর বাতাসে, এর আকাশে।

পহেলা ফাল্গুনে, বিশেষ করে তরুণীরা বাসন্তী শাড়ি আর মাথায় হলুদ ফুল দিয়ে নিজেদের নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। অন্যদিকে ছেলেরা সাজে হলুদ রঙের পাঞ্জাবিতে। গ্রামবাংলায় বিশেষ আয়োজনে চলে পিঠা উৎসব। আর শহরে পায় বিশেষ আনুষ্ঠিকতা। ফাল্গুন মানেই হলুদ কিংবা বাসন্তী শাড়ি পরে সবাই বসন্তকে বরণ করে নেয়। কিন্তু এ ফাল্গুনে কোনভাবেই ইচ্ছে করছে না হলুদ শাড়ি পরার, অন্য কোনো গাঢ় রঙের শাড়িই পরতে চায়। পাতার আড়ালে-আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহুকুহু ডাক। ব্যাকুল করে তুলবে অনেক বিরহি অন্তর। কবি তাই বলেছেন, সাদনাহ ‘সে কি আমায় নেবে চিনে/ এই নব ফাল্গুনের দিনে..’।