আজ শনিবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফাঁকা পদে নজর

স্টাফ রিপোর্টার :

রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা হিসেবে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা। এই জেলাতেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে; এমনটা বলে থাকেন দলের বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও। তবে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বহন করা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোন নেতার ভাগ্যে জোটেনি কেন্দ্রীয় কমিটির পদ। প্রতিবার সম্মেলনের আগে গুঞ্জন উঠলেও শেষতক নিরাশ হয়ে থাকেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূল। এবার সেই নিরাশা কাটবে কিনা- তা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গণে।

গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ৪৮ জনের মধ্যে কোনো নতুন মুখ নেই।

অন্যদিকে, প্রেসেডিয়ামে দুটো, সম্পাদকীয় দুটো এবং উপ সম্পদকীয় একটি সহ ২৮টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ মিলিয়ে মোট ৩১টি পদ খালি রাখা হয়েছে। প্রেসিডিয়ামের পরবর্তী সভা শেষে সেগুলো ঘোষণা করা হবে।

জানা গেছে, ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা পদগুলোর দিকে সূক্ষ্ম নজর রয়েছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের। তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নেয়ার মত নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট একাধিক নেতা রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আবার প্রবীন আওয়ামী লীগার। পোড় খাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তাদের অনেকেই পরিচিত।

এর মধ্যে তৃণমূলের আলোচনায় আছেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। এবারের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে যদি তাদের মধ্যে কোন একজনের জায়গা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের যেই অপূর্নতা রয়েছে, তা দূর হবে।

যদিও তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতিই একাত্মতা প্রকাশ করবেন। দলকে সু-সংগঠিত করা এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোন সিদ্ধান্তই তারা মেনে নিতে তৈরী আছেন।

জানা গেছে, সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) রূপগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সম্মেলনের অর্থ উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অন্যান্যরাও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আগামীর পূর্নাঙ্গ কমিটিতে তাদের দেখা যাবে কিনা সেই আলোচনাই জোড়ালো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূলে।