আজ রবিবার, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে আইন শৃঙ্খলা উন্নতি নভেম্বরে ১১৬ মামলা রুজু


নিজস্ব সংবাদদাতা (ফতুল্লা,নারায়ণগঞ্জ) : ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে গত নভেম্বর মাসে ৩০ দিনে মোট ১১৬ টি মামলা রুজু হয়েছে।এছাড়া গলায় ফাঁসসহ ইচ্ছেকৃতভাবে নিজ কর্তৃক আত্মহত্যার দায়ে পরিবারের সদস্যরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে মোট ৫ টি। ফতুল্লা মডেল থানার আইন শৃঙ্খলা গত অক্টোবর মাসের চেয়ে যতেষ্ট উন্নতি ছিলো বলে জানান থানা পুলিশ ও ফতুল্লাবাসী। নভেম্বর মাসে ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহনী কর্তৃক ৪১ লক্ষ৭৪ হাজার ১শ‘৫০টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এই মাসে থানা পুলিশ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানান।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপরেশন) মজিবুর রহমান ও থানার সেরেস্তার স্টেটম্যান অফিসার এ.এস.আই রফিকুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় আগের তুলনায় অপরাধ প্রবনতা কমেগেছে। ফতুল্লা মডেল থানায় গত নভেম্বর মাসে বিভিন্ন অপরাধে মোট ১১৬ টি মামলা রুজু হয়েছে। মামলাগুলো হলো , অস্ত্র মামলা ১টি, নারী নির্যাতন ও যৌতুকসহ মামলা ৪টি, গাড়ী চুরিসহ বিভিন্ন ঘটনায় চুরির মামলা ৩টি, মারামারি ( আদার সেকশন) মামলা ১৮টি, হত্যা মামলা ২টি,মাদক মামলা ৮৮টি। মাদক মামলার ৮৮টির মধ্যে র‌্যাব-১১ এর ১টি মামলা , জেলা ডিবি‘র রুজু ১৮ টি,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৭টি। পুলিশ আরো জানান,ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ১৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯শ‘৫০ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। তা হলো, ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৯২৫ পিস , হেরোইন ৩০.৫ গ্রাম , ফেন্সিডিল ১৪ বোতল, গাঁজা ৮ কেজি ৩৫০ গ্রাম এবং বিয়ার ১০ ক্যান উদ্ধার করেছে। এছাড়া জেলা ডিবি‘র ফতুল্লা থানায় ১৮ মামলায় মাদকদ্রব্যদি উদ্ধার ১১লক্ষ৭হাজার ৬০০ টাকার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৭ মামলায় ৪লক্ষ২৯হাজার টাকার মাদকদ্রব্যদি উদ্ধার এবং র‌্যাব-১১ এর ১ মামলায় ৮লক্ষ ১হাজার৬০০ টাকার মাদকদ্রব্যদি উদ্ধার করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মাদক সেবী ও সন্দেহ জন ভাবে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে ৪৮ জনকে। ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট অভিযান চালিয়ে জি.আর ওয়ারেন্ট তামিল করেছে ১৩০টি এবং সি.আর ওয়ারেন্ট তামিল করেছে ৪০ টি। এছাড়া বিজ্ঞ আদালতের সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী খুজেঁ বের করে গ্রেপ্তার করেছে ৫ জন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধারের সিংহভাগই এস.আই শাফীউল আলম কাজী এনামুল হক,তারেক আজিজের অবদান রয়েছে। এরাই মূলতঃ ফতুল্লা মডেল থানার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানাযায়।এস,আই কাজী এনামুলহক ও তারেক আজিজ কর্তৃক ইয়াবা ট্যাবলেট ২ হাজার ৪২ পিস,হেরোইন ৫ গ্রাম, গাঁজা ১ কেজি উদ্ধার । ওয়ারেন্ট তামিলে কাজী এনামুল হক সি.আর ১টি জি.আর ১২টি। এ.এস.আই তারেক আজিজ কতৃর্ক ১৭টি। এস.আই শাফীউল আলম কর্তৃক ১৭শ‘৭পিস ইয়াবা, হেরোইন ৪ গ্রাম, গাঁজা ১ কেজি । তিনি জি.আর ওয়ারেন্ট তামিল করেছেন ১৪টি,সি.আর ১৬টি। দাপাইদ্রাকপুর শাহজাহান রি-রোলিং মিলস এলাকার মাদকের ডিলার শাহজাহান কে ১২শ‘পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া এস.আই সাইফুর রহমান ২৪৫ পিস ইয়াবা ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছেন। তিনি জি.আর তামিল করেছে ৩টি এবং সি.আর ৩টি। এস,আই আতাউর রহমান আফ্রাদ কর্তৃক ৫৫পিস ইয়বা ,১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার । রাজু মন্ডল কর্তৃক ১১৫ পিস ইয়াবা,হেরোইন ২ গ্রাম এবং ১০ক্যান বিয়ার উদ্ধার। আ.সবুর খান, দিদারুল আলম ,মোজারুল ইসলাম, অটলদাস, সাইদুজ্জামান, নাদি-উজ-জামান বেশ দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়। ফতুল্লা মডেল থানার অপরেশন ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমান ও সেকেন্ড অফিসার ফয়েজুর রহমান মুন্সী সাহাব উদ্দিনও দায়িত্বের সাথে তাদের কাজগুলো পরিচালনা করায় ফতুল্লা মডেল থানার পরিবেশ এবং কাজের গতি জেলার সকল থানার চেয়ে বেশি উন্নতি। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন চৌকশ হওয়ায় তাদের থানার আইন শৃঙ্খলা জেলার অন্যান্য থানার চেয়ে যথেষ্ট উন্নতি এমনটাই বলছেন এলাকার সচেতন মহল। কামাল উদ্দিনের কাছে অপরাধীর দল নেই সে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকা মানুষের প্রানপণ দোয়া পাচ্ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার চেহারা তিনি সত্যিই মডেল তৈরী করে যাচ্ছে। জনগনের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষে ডিউটি অফিসারের কক্ষে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিট্যাল করতে কম্পিউটারসহ ফ্রি সার্ভিস খুলে দেয়ার জন্য জনগনের সেবা নিশ্চিত করে জেলার আরো সুনাম কুড়ানো কাজ এখন সাধারন মানুষ দেখছেন। নানা রঙ্গে বর্নিত কক্ষটি এখন সংস্কারের কাজ প্রায়ই শেষ। তিনি যোগদানের পরে ফতুল্লা মডেল থানাটি সত্যিকারের মডেল সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া কুতুবপুর নন্দলালপুর কাকুলী ডাইং এলাকার আলোচিত নাঈম হত্যা মামলার ৬ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মূল হোতা জনি,রাফাসহ ৫ জন নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছে। এটার সফলতার দাবীদার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, আমি আমার পরিবার কে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনি আমার কর্মস্থলকেও ভালোবাসি। সুতরাং ভালোবাসা ও ভালোথাকার প্রয়সে আমি আমার দায়িত্ব থেকে সকল কাজ করে থাকি। তিনি আরো বলেন, আমি চলে যাবো আবার আরেকজন আসবে এটাই নিয়ম কিন্তু যিনি আসবে তিনি এবং এলাকার সাধারন মানুষ হয়তো আমার ভালো কাজগুলো মনে রাখবে। পুলিশ হিসেবে আমার অনেক ঈমানী দায়িত্ব রয়েছে। এত বড় এরিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি মডেল থানা সুতরাং মডেল থানায় প্রবেশ করলে বলতে হবে এ্টা সত্যিই মডেল থানা। কাজেই থানার আইন শৃঙ্খলা অপরাধ দমন যেমন আমাদের কাজ তেমনি থানার পরিবেশ চাকচিক্য রক্ষাও আমি অফিসার ইনচার্জ হিসেবে আমার কাজ এটাই আমি মনে করি ।
ফতুল্লা মডেল থানায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) মো. শরফুদ্দীন অত্যান্ত সৎ ও মেধাবী অফিসার তিনিও থানার পরিবেশ ও অফিসারদের ঠিক রাখতে ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন। যারা পুলিশি অফিশিয়াল নিয়ম বহিভূত কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকায় ফতুল্লায় পুলিশের কাজে জনগন সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্থানীয় অনেক বিষয় আছে থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন ও ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমান তাৎক্ষনিক সমাধান করেন। এতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অনেকটাই প্রশংসার দাবী রাখছেন।