আজ মঙ্গলবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের রিমান্ড বানিজ্য চরমে, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ঠেকাতে তৈমূরের নামে ১২ মামলা

পুলিশের রিমান্ড বানিজ্য চরমে

পুলিশের রিমান্ড বানিজ্য চরমে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা যেন থামছে না। কারণে অকারণে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড.তৈমুর আলম খন্দকারের নামে পুলিশ বাদী হয়ে ১২ টি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা ব্যাপারে এড. তৈমূর আলম খন্দাকার দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, কোন ঘটনা ছাড়াই পুলিশ আমার নামে ১২ টি মামলা দিয়েছে । যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারি। মামলা আসামী করা হচ্ছে অজ্ঞাত নামে, তাতে বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেড রিমান্ড দেয় আর পুলিশ সেই রিমান্ড নিয়ে চরম মূল্যে বাণিজ্য করছে।

তিনি বলেন, হাইকোটের বারান্দা হচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীদের এখন ঠিকানা। আমাদের জেলে রেখে সরকার আবার ২০১৪ সালের মত ভোটার হীন নির্বাচন আয়োজনের নীল নকশা আকছে।

পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, পাকিস্তানের কুখ্যাত সেনাবাহিনী যে ভাবে ৭১ সালে আমাদের উপর নির্যাতন করেছে ঠিক সেই ভাবে বর্তমান পুলিশ বাহিনী বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে আচরণ করছে। আমাদের নামে ভৌতিক মামলা দিচ্ছে।

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন,নির্বাচনে অংশ নিলেই গ্রেফতার করবে। নির্বাচনে করা ত দুরের কথা এখন বেচে থাকাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। যে দিন পুলিশের রিমান্ডের টাকা গোছাতে পারব সে দিন নির্বাচন করব এবং গ্রেফতার হব।

তৈমুর আলম খন্দকার মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রয়োজনে তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে রিট করবেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দৈনিক সংবাদচর্চা কে বলেন, ২০১৪ সালের মত ভোটার হীন নির্বাচন করার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। যত মামলা হামলা করা হোক না কেন আমরা পিছু হটব না। আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি পরে নির্বাচন।