নবকুমার:
পাবনা ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী এড.শামসুল হক টুকুর বিভিন্ন সময়ে বিতর্কীত কর্মকান্ডে তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় বলে জানিয়েছে একাধিক বেড়া- সাথিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সরেজমিনে যুরে দেখা গেছে বর্তমান সরকারের ১০ বছরের শাসন আমলে হাইব্রিডদের বেশি প্রধান্য দিয়েছে এড.শামসুল হক টুকু।তিনি নিজের বলয় তৈরী করতে জামায়াত শিবিরকে কাছে টানছে। শুধু তাই নয় সাথিয়া উপজেলা জামায়াতের চেয়ারম্যানের সাথে টুকুর আতাত রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের এক মঞ্চে দেখা গেছে। যা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না।
বেড়া সাথিয়ার মাদক ব্যবসায়ীরা টুকুর আশ্রয়ে থাকে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । শান্তি প্রিয় বেড়া সাথিয়ার মানুষ তাদের সন্তানদের ভবিষ’তের কথা চিন্তা করে টুকুকে আগামী নির্বাচনে এমপি পদ থেকে অপসারণের দাবিতে জেগে ওঠেছে। তারা বেধেছে একাধিক জোট। এক শিক্ষক বলেন, আমরা বর্তমান এমপি টুকুর অপসারণ চাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও টুকুর অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা হচ্ছে।
সম্প্রতি টুকুর নামে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর মারপিটের অভিযোগ ওঠেছে ।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ভাই বেড়া পৌর সভার মেয়র আব্দুল বাতেন সাথিয়া উপজেলার চতুরবাজার বেড়া উপজেলার সীমানার মধ্যে নিয়ে আসায় সাথিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ সহ সকল পেশার মানুষ নিজেদের অস্তিস্ত্বের প্রশ্নে বর্তমান এমপির দিক থেকে তারা তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয় টুকুর উপর তাদের আস্থা কমে যায় । বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয় ।
টুকু ও তার পরিবারের দুর্নীতির অভিযোগ ও তার পুত্রের প্রায় ১শত ২১ কোটি টাকার ঋণখেলাপি থাকায় সাধারণ জনগণের আস্থা হারিয়ে জনপ্রিয়তা কমছে।
এড.শামসুল হক টুকু জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় এব্যাপারে নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক বেড়া উপজেলার একজন সিনিয়র প্রবীন নেতা সংবাদচর্চকে বলেন,টুকু বাতেনের ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূবে কি পরিমান সম্পদ ছিলো মন্ত্রী হওয়া কি পরিমান হয়েছে?তার মতের বাইরে গেলেই নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়।বর্তমানে সে জনপ্রিয়তার শূনের কোঠায় রয়েছে। টাকার বিনিময়ে দু /একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বেড়া সাথিয়ায় নিয়ে সে মিথ্যাচার করছে।অামরা বেড়া বাসি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী পরিবতন চাই।
সাথিয়া উপজেলার সিনিয়র নেতা বলেন,আমরা সাথিয়াবাসি আর টুকু বাতেনের নেতৃত্ব চাই না। টুকু সাহেবকে তার কর্মকান্ডের কারণে বর্তমানে সাথিয়ার সব শ্রেণীর মানুষ বর্জন করছে। তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। আমরা এ আসনের প্রার্থী
পরিবর্তন চাই।শিক্ষিত সবার কাছে গ্রহন যোগ্য প্রার্থী চাই।
সাথিয়ার কৃষক আমীর আলী বলেন, চায়ের দোকানে টুকু সাহেবকে সবাই গালি দেয়।কৃষকদের জন্য সাইয়িদ ভালো কাজ করেছে। সব চায়ের দোকানে সাইয়িদের গল্প সবাই করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা দুর্নীতির অভিযোগসহ কিছু বিতর্কীত কর্মকান্ডে টুকুর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। এখানে বর্তমানে সাইয়িদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে টুকুকে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয় লাভ সম্ভব নয়।সাইয়িদকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সহজ হবে।