অনলাইন রিপোর্ট:
পাকিস্তানে ভোট শেষ হওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পূর্ণ ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরও ১১টি আসনে ফল ঘোষণা বাকি। লাহোরে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান রাজনৈতিক নেতারা বৈঠক করছেন। এরই মধ্যে নতুন সরকার কেমন হতে পারে, তা নিয়ে বিবৃতি দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনীতি বৈচিত্র্যময়। পাকিস্তানের বহুত্ববাদের ভালো প্রতিনিধিত্ব করবে জাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ সব গণতান্ত্রিক শক্তির একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার।
পাকিস্তানের জিও টিভির খবরে সেনাপ্রধানের বিবৃতির খবর জানানো হয়েছে। সেনাপ্রধান বলেছেন, জাতির প্রয়োজন সবারই উচিত হয়ে স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করা। নৈরাজ্য ও মেরুকরণ থেকে বেরিয়ে ক্ষত পূরণ করতে হবে। নির্বাচন জয়-পরাজয়ের জিরো-সাম প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের মহড়া।
পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস থেকে দেওয়া সেনাপ্রধানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবায় সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এটি সম্ভবত গণতন্ত্রকে কার্যকর ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায়। নির্বাচন ও গণতন্ত্র পাকিস্তানের জনগণের সেবা করার সর্বোত্তম মাধ্যম।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, অপ্রতিরোধ্য প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেতৃত্ব এবং কর্মীরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবিদার। জাতীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসামরিক প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সদস্যরা যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে, তা জাতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে, তাই এখন সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রাজনৈতিক পরিপক্কতা ও ঐক্যের মাধ্যমে এর প্রতিদান দেওয়া।
নির্বাচন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির অগ্রদূত হিসাবে প্রমাণিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।