নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ। এখন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কমিটি গুলি। আর নতুন করে সাজানো হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কমিটি। আর এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেতা বা না নেয়ার মাধ্যমে। আর এতে করে ধসে যাচ্ছে এক সময়ে প্রভাবশালী নেতারা।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেকে দল থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন। হারাচ্ছের দীর্ঘ দিনের গড়া ইমেজ। আওয়ামীলীগের অনেকে এ নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকায় তাদের কারণে কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রয়োজন হয়ে পড়ে দলকে পুনরায় ঢেলে সাজানো। তাই দলকে সাজানোর জন্য দলের সকল কমিটিগুলি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে সাজানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ বিলুপ্ত করা হয়েছে। সময় এসেছে সেই পুরনো কমিটিগুলি ভেঙ্গে নতুন করে সাজানো। আর এ লক্ষ্যে হাইকমান্ড ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আর কমিটি গুলি ভেঙ্গে দেয়া হলে নেতৃত্বে হারাবে নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা। যারা নারায়ণগঞ্জ তছনছ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। আর রাজনীতিতে শেষ বলে কথা নেই। রাজনীতিতে অনেকে যাবেন আসবেন এটাই স্বাভাবিক। যারা এতোদিন ক্ষমতা আকঁরে রেখেছিলেন এবার তাদের অনেকে ক্ষমতা হারাবেন।
এমনটাই ইঙ্গিত হাইকমান্ডের। দেখ গেছে, সদ্য শেষ হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একটি বলয় নৌকার পক্ষে মাঠে নামেনি। যা ছিল দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ। আর এ কারণে দলের পুরো কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড। এদিকে এক নির্বাচনেই সবকিছু হারালেন তৈমূর আলম খন্দকার। সেই সাথে বহিস্কার হলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। তাদের বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এখন এটিএম কামালের পক্ষে একটি পথই খোলা রয়েছে সে পুনরায় আমেরিকা চলে যাওয়া। দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তৈমূর আলম ও এটিএম কামাল দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকরে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। আর এ কারণে দল তাদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেন। সুত্রের খবর যারা দলীয় পদে আছেন তারা পদ ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছেন। দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। দলের হয়ে কাজ করছেন। আবার যারা পদ বঞ্চিত বা বহিষ্কার হয়েছেন তারা পুনরায় দলে ফেরার চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন।