সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
কায়েতপাড়া ও ভোলাবতে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন রূপগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতির ভবিষ্যত কান্ডারি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর তিনি কায়েতপাড়ার ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডে পায়ে হেটে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করেন। গণংসংযোগে শত শত মানুষের ঢল নামে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আলহাজ্ব তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান হারেজ, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, আলহাজ¦ হাবিবুর হাবিব, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সেক্রেটারী মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল, সাধারন সম্পাদক মোস্তফা আল হোসাইন রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল খন্দকার জয়সহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পাপ্পা গাজীর গণসংযোগে নৌকার পক্ষে তরুণ ভোটাররা আকৃষ্ট হচ্ছে।
এসময় গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, কায়েতপাড়ায় গুন্ডাগিরি করবেন না। যাদের নৌকা নেই, তাদের কাছে কিছুই নেই। প্রশাসন তো পরের কথা। নির্বাচনের আগে বলেছে নমিনেশন তাদের পকেটে থাকে। তাদের সেই পকেট গেলো কই? এখন দেখি স্বতন্ত্র হয়। দুই ভাই মিলে চেষ্টা করেও পায় নাই।
মন্ত্রীপুত্র বলেন, এই নির্বাচন শুধু আপনাদের নির্বাচন নয়, এটা আমাদের বাঁচা মরার নির্বাচন। এটা নৌকার অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। বড় ভাই গেছে এখন মেজো ভাই। এরপর ছোট ভাই। আমি কারাও গীবত গাইতে আসি নাই। নৌকা ছাড়া আর কোনো নিরাপদ মার্কা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা অবশ্যই জিতবে। এলাকায় সবাই একটু সাবধান থাকবেন। ওরা টাকার বস্তা নিয়ে নামছে , ভোট কেনার চেষ্টা করবে । নিজের বিবেককে কেউ বিক্রি করে দেবেন না। ভোটের পরে ওরা আপনাকে চিনবে না। তখন আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করবে। সকলে মিলে ওই দখলবাজ, দুর্নীবাজদের কালো টাকাকে বর্জন করবেন। জাহেদ আলী চেয়ারম্যান হলে সবাই গ্যাস সংযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য আগামী ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া, মুড়াপাড়া, ভোলাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার প্রচেষ্টায় মুড়াপাড়া, ভুলতা, গোলাকান্দাইল ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এসব ইউপিতে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলো তারা মন্ত্রী এবং মন্ত্রীপুত্রের নির্দেশনায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।