নবকুমার
নেইমারের গোলে কোস্টারিকাকে ২-০ গোলে গুড়িয়ে দিল ব্রাজিল। কোস্টারিকার বিপক্ষে আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে সাফল্যে মরিয়া ব্রাজিল প্রথমার্ধে কোনো সাফল্য পায়নি। পুরো নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়েছে, কোনো গোল হয়নি। তবে অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে আলোর মুখ দেখে তারা। শেষ পর্যন্ত তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে কোস্টারিকাকে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন ফিলিপে কুতিনহো। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সে ঢুকে চমৎকার শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পুরো ব্রাজিল শিবির উল্লাসে মেতে ওঠে।
ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে নেইমার দলকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন। ডগলাস কস্তার ক্রসে আলতো শটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
ম্যাচের প্রথম ৯০ মিনিটে কোনো গোল না পেলেও ব্রাজিল খেলেছে দুর্দান্ত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকগুলো আক্রমণ গড়েল ঠিক কিন্তু কোস্টারিকার রক্ষণের দেয়াল ভাঙতে পারেনি। বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দলটির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
দুই ম্যাচে এক ড্র এবং এক জয়ে ব্রাজিল ৪ পয়েন্ট নিয়ে নকআইট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা নিশ্চিত। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে কুতিনহোর দুর্দান্ত শট গোললাইন থেকে সেভ করেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক।
৫৭ মিনিটে সে কুতিনহোর বক্সের বাইরে থেকে আরো একটি চমৎকার প্লেসিং কোস্টারিকা গোলরক্ষক শুয়ে পড়ে রক্ষা করেন। অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কোস্টারিকা। ১৩ মিনিটে ফ্রান্সিসকো কালভো চমৎকার প্লেসিং সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায় বল।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে কোস্টারিকার বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান নেইমার। গঞ্জালেজকে ঠিকই বোকা বানিয়েছিলেন। তবে গঞ্জালেজ পড়ে যাওয়ার সময় নেইমারের গায়ে একবার হাত দিয়েছিলেন। ব্যাস, পড়ে যান নেইমার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ক্ষেপে যান কোস্টারিকার খেলোয়াড়রা। ঘিরে ধরেন রেফারিকে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির স্মরণাপ্ন হন ফিল্ড রেফারি। বাতিল হয়ে যায় পেনাল্টি।
ম্যাচে অবশ্য কোস্টারিকাও কাউন্টার অ্যাটাকে কয়েকটি আক্রমণ গড়ে ব্রাজিলের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে মাঝে মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সাফল্য পায়নি। টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। তারা আগের ম্যাচেও হেরেছিল, সার্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে। আজকের ম্যাচে ব্রাজিল ৬৭ % এবং কোস্টারিকা ৩৩% খেলেছে।