নিরাপত্তাপ্রহরীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়াইয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে লুট
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকার হাজী আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের ক্রাউন ও নদভী জুয়েলার্স নামে দু’টি স্বর্ণের দোকানে লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা প্রহরী ও ঝাঁড়–দারদের নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে দু’টি স্বর্ণের দোকান থেকে ৪শ’ ৫৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ আড়াই কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়। এ ঘটনার পর থেকে দ্ইু প্রহরী পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি পরিকল্পিত দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে পলাতক দু’প্রহরী জড়িত রয়েছে বলে ধারণা মার্কেট মালিকপক্ষের। ঘটনাটি শুক্রবার গভীর রাতের কোন এক সময় ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা জানায়, হাজী আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় প্রহরী আঃ হক, সিরাজ, নূরুল হক, আব্দুল কাদের, ঝাঁড়–দার শাহনাজ ও ফরিদা বেগমকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে একই তলার ক্রাউন ও নদভী জুয়েলার্সের সাটার ভেঙ্গে ও কেঁচি গেইট কেটে দুর্ধর্ষ চোরের চুরির কার্যক্রম চালায়। চোরেরা দুটি দোকান থেকে ৪শ’ ৫৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। লুট হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থরা। ক্রাউন জুয়েলার্সের মালিক নজরুল ইসলাম ও রাজু। ক্রাউন জুয়েলার্সের মালিক রাজু জানান, ডাকাতরা ১০৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১ লাখ ১৬ হাজার লুট করে নিয়ে যায়। অপরদিকে নদভী জয়েলার্সের মালিক রানা জানান, তার দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দেড় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
হাজী আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুল্লাহ জানায়, ডাকাতরা তার অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে সি সি ক্যামেরার রেকর্ডার ও নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় অচেতন হওয়া প্রহরী আঃ হক ও সিরাজকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ঝাঁড়–দার শাহনাজ ও ফরিদাকে নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুরের ৩শ’ বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর অচেনত প্রহরীদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রহরী আব্দুর রব ও খালিদ হাওলাদার পলাতক রয়েছে। আব্দুর রব চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এবং খালিদ হাওলাদার গত আড়াইমাস থেকে এ মার্কেটে প্রহরীর চাকুরী নেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) আব্দুস সাত্তার জানান, দুর্ধর্ষ চোরের পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা ঐ মার্কেটের অন্যান্য সি সি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের গ্রেফতার ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রহরীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, দু’টি স্বর্ণের দোকানের ঘটনাটি পরিকল্পিত চুরির ঘটনা। আঃ রব নামে একজন প্রহরী রয়েছে যাকে কমিটির লোকজন চলতি মাসের ১ তারিখে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে একে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।