নাদিম হাসান:
এখনো সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি নিতাইগঞ্জে বি.কে রোডে। কয়েকটি ময়দার মিলের ভারি পণ্যবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে সড়কটির প্রায় বেশির ভাগ অংশই এখন ভাঙা। তাছাড়া এসব কারখানার বর্জ্য ড্রেনে ফেলায় ড্রেনের পানি স্বাভাবিক নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পানি ও কাঁদা মাটিতে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অবস্থা থাকায় স্থানীয়রা এখন এ সড়ককে ধানের ক্ষেত বলে ডাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডস্থ বি.কে রোড ভরা কাদা আর কাদা। নতুন কেউ এখানে এসে সড়ক না বলে ক্ষেত ভাবলেও দোষ দেয়া যাবে না। এছাড়া রাস্তার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও আবার পিচের ঢালাইয়ের অস্তিত্বই নেই। অনেক জায়গায় ড্রেনের স্লাপগুলোও ভাঙা। এ অবস্থায় রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রায়ই আটকে যায় রিক্সা অটোরিক্সিাসহ অন্যান্য যানবাহন।
জানা যায়, এই এলাকায় রয়েছে এস.আর ফ্লাওয়ার, নিউ প্রিন্স ফ্লাওয়ার, গ্রীন ফ্লাওয়ার, মোহাম্মদিয়া ফ্লাওয়ারসহ আরো কয়েকটি আটা ময়দার ফ্যাক্টরী। এই কারখানাগুলোতে গম ভাঙিয়ে তৈরি করা হয় আটা ময়দা। আর এই গমের ফ্লাই (কুড়া) পাইপ এর মাধ্যমে সরাসরি ফেলা হয় ড্রেনে। আর এই কুড়া জমে ভরাট হয়ে যায় ড্রেন । এতে করে পানি সরার জায়গা বন্ধ হয়ে যায়। পানি নিস্কাশনের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় পানি উঠে তলিয়ে যায় রাস্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়িরা বলেন, দীর্ঘ দিনদরে এই দুর্গন্ধময় ড্রেনের পানিতে রাস্তা ভাসছে। কোনটি রাস্তা আর কোনটি ড্রেন তা চেনা মুশকিল।
স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়টি ১শ’ ভাগ সত্য দাবি করে এর আগে ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসাইন জানান, তোলারাম মোড় থেকে শুরু করে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত প্রাই সব ড্রেনেই পানি সরার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, এখানে যে ময়দার মিলগুলো রয়েছে তার বর্জ্য এই ড্রেনে ফেলার জন্যই দ্রুত ভরাট হয়ে যায় ড্রেন । নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হিরণ জানায়, ড্রেন পরিস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ঠিকাদার কোম্পনিকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ড্রেন পরিস্কার এর কাজ শুরু হবে।