নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্কুল ছাত্র আরাফাত হোসেন সিয়াম হত্যা মামলায় তিন আসামীকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত লাশ গুম করার অভিযোগে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদতালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানকালে ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিল এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত এক আসামী পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- মেহেদী মন্ডল, হালিম ও আসলাম। বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলো-ফারুক মন্ডল, মেরিনা মন্ডল ও বিপ্লব ।
গত ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় কবুতর কেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আদর্শ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সিয়ামকে ছুরিকাঘাতের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাদকাসক্ত মেহেদী মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা লাশ গুম করলে ঘটনার পরদিন ২৩ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের শান্তিনগর এলাকা থেকে সিয়ামের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের বাবা মোস্তফা মাতবর ফতুল্লা থানায় বাদি হয়ে উল্লেখিত ছয়জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের মধ্যে মেহেদী মন্ডল ও আসলাম হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে। দেড় বছর তদন্তের পর পুলিশ ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ ২৯ জনকে স্বাক্ষী ও ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ৫ বছর পর এ রায় প্রদান করেন।
তবে এই রায়ে ন্যায়বিচার পাননি বলে উল্লেখ করে উচ্চ অদালতে আপীলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের স্বজনরা।
সট: সখিনা বেগম : নিহত সিয়ামের মা।
সট: মোস্তফা মাতবর : মামলার বাদি ও নিহত সিয়ামের বাবা।
স্বাক্ষ্যপ্রমান অনুযায়ী আসামীদের আরো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি। তিনি জানান, বাদিপক্ষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।