আজ শনিবার, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জে হারবাল চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারনা,ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নারায়ণগঞ্জে হারবাল চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ খেটেখাওয়া সহজ সরল মানুষ। স্থান ডিবি অফিস সংলগ্ন খানপুর নারায়ণগঞ্জ, ব্যবসার কাচামাল অসহায় জনগন, প্রতিষ্ঠানের নাম, বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক ফার্মেসী (সাবেক ভারত হারবাল) ব্যবসা চলবে পক্ষে প্রশাসন।নারায়ণগঞ্জে হারবাল চিকিৎসার নামে চলছে নানা প্রতারণা প্রশাসন নিরব। দীর্ঘ দীন যাবৎ নামে-বেনামে শহরের আনাচে কানাচে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্র। আর এই নারায়ণগঞ্জে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা। এইসব কলকারখানাকে কেন্দ্র করে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস এই শহরটিতে। সহজ সরল মানুষকে বোকা বানাতে নারায়ণগঞ্জের স্বঘোষিত বিখ্যাত ইউনানী বা হারবাল প্রতিষ্ঠানগুলো টেলিভিশনে প্রচার করছে দৃষ্টি নন্দন বিজ্ঞাপন। দুঃখজনক হলেও সত্য নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি হারবাল প্রতিষ্ঠানের নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। বেশ কিছু অখ্যাত সংগঠন থেকে নাম মাত্র একটি সার্টিফিকেট এনে খুলে বসেছেন হারবাল মেডিক্যাল নামের প্রতিষ্ঠান। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। যারা প্রতারিত হচ্ছেন তারা লোক লজ্জার ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। আবার অনেকে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগলে ও কাউকে কিছু বলতে পারছেনা। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে যৌনরোগ,পুরুষের শারিরিক দূর্বলতা, বিশেষ ধরনের মলম, মোটা হওয়ার ঔষধ, প্রশ্রাবের জ্বালা পোড়া,গনোরিয়া,ডায়াবেটিস,বন্ধাত্ব,নাকের পলিপাস, কান দিয়ে পুঁজ পড়া, এইচবিএস+,পাইলস, অ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিক ও ক্যান্সারসহ অনেক জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার কথা বলে প্রতারনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। নারায়ণগঞ্জ শহরে যারা চিকিৎসা করছেন তাদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। তাহলে কিভাবে করছে তারা মূল্যবান মানব দেহের চিকিৎসা ! এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে গত ২৯ অক্টবর ২০১৭ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের প্রানকেন্দ্র খানপুর নিউ মেট্রো সিনেমা হলের দক্ষিণ পার্শ্বে বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুুর্বেদিক ফার্মেসী (সাবেক ভারত হারবাল)। ভারত হারবালে গিয়ে দেখা গেলো দামি চেয়ার টেবিল হাকিয়ে একজন বসে আছেন। চিকিৎসক চেম্বারে আছেন কি না জানতে চাইলে? বলেন,স্যার ভিতরে রুগী দেখছেন ব্যাস্ত আছেন আপনারা ডাক্তার দেখাতে চাইলে আগে টিকিট নিতে হবে ফি তিনশত টাকা, ঢাকা থেকে বড় স্যার এসেছেন স্থায়ী সমাধান দিবে ইনশাআল্লাহ। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভিতরের রুমে গিয়ে দেখা মিলে ঢাকা থেকে আগত ডাঃ মোঃ জাকির হোসেনের সাথে, প্রশ্ন করা হয়-আপনি কি ডাক্তার ঢাকা থেকে এসেছেন? ডাঃ জাকির হোসেন উত্তরে বলেন না আমি ডাক্তার নয় আমি পড়ালেখা করি মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি, আপনি কেন চিকিৎসা দিচ্ছেন আপনি তো ডাক্তার না? উত্তরে জাকির সাহেব বলেন আমার মামা আজ আমাকে চালিয়ে নিতে বলেছেন, বসে থাকা একজন রুগীকে প্রশ্ন করা হয় আপনি এখানে কেনো এসেছেন?আপনার কি সমস্যা-রুগী বলে আমার সমস্যার কথা আমি ডাক্তারকে বলেছি, ডাক্তার আপনাকে কি ঔষধ দিয়েছে, আজ কোনো ঔষধ দেয়নি আগামি ৩১/১০/১৭ ইংরেজী তারিখে আমাকে আফ্রিকান হরিণের কস্তূরী মৃগনাভী দিয়ে ঔষধ বানিয়ে দিবে। আপনার কাছে কত টাকা চেয়েছে?উত্তরে রুগী বলেন, ঔষধের দাম ১১৭৫০ /= টাকা আর এক তোলা কস্তূরীর দাম ১৪৫০০/=টাকা মোট ২৬২৫০/=টাকা দিতে হবে। আজ আপনি কত টাকা দিয়েছেন? ২০,০০০/=টাকা, আর বাকি টাকা কখন দিতে হবে? আমি যখন ঔষধ নিতে আসবো তখন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন ওনার সাথে আমার কোন টাকা পয়শার কথা হয়নাই,আমি ওনার কাছে কোন টাকা পয়শা চাইনাই,আমি শুধু ওনাকে টেষ্ট করেছি, রুগী তখন খুব রাগান্বিত কন্ঠে ডাক্তারকে বললেন,আপনি আমার কাছ থেকে টাকা পয়শা নেওয়ার পর এখন বলছেন টাকা পয়শার কথা বলেননাই,আমি আপনাকে ২০,০০০/=টাকা দিয়েছি। আপনি আমার সাথে প্রতারণা করেছেন বলে ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে বলেন আমি আপনার বিরুদ্ধে মামলা করবো। তখন ডাক্তার জাকির সাহেবের ফোনটা বেজে ওঠে আর জাকির সাহেবের গলার সুরটা বদলে যায়,সাংবাদিকদের লক্ষ করে ডাক্তার জাকির বলেন আমার মামার ফোন-কথা বলেন,ফোনটা ধরে নাম জানতে চাইলে প্রথমেই বলে আপনারা কেন আমার দোকানে এসেছেন,আপনারা কি ম্যাজিস্ট্রেট এর অনুমতি নিয়ে এসেছেন,আপনি জানেন আমার মামা এন টিভির সাংবাদিক, ব্যবসা করছি ভালভাবে ব্যবসা করতে দিন,আমাদের ডিস্টাব করতে আসবেন না। আপনারা সাংবাদিক আমার বীরুদ্ধে লিখেও কোন লাভ নেই,এরকম অনিয়ম সবাই করে,আমরাও করছি,এবিষয় ড্রাগসুপারও জানে, ওনাকে বলেও কোন লাভ হবেনা,আমি আগামীকাল আসবো,কোন রকম বারাবারি না করে আপনারা আগামীকাল আসেন।
প্রিয় পাঠক আগেই বলেনেয়া ভালোছিলো,ভারত হারবালের অনিয়মের বিষয় অনুসন্ধানে যাবার আগেই ড্রাগসুপার মোঃফখরুল ইসলামকে জানানো হয়েছিলো, ড্রাগসুপার আশ্বাসও দিয়েছিলেন প্রশাসনিক সহায়তা করবেন,এবং এও বলেছিলেন,ঘটনাস্থলে অনিয়মের প্রমান পাইলে জানাবেন আমি প্রশাসন নিয়ে আসবো। অনুসন্ধান শেষে ভারত হারবালের অনিয়মের বিষয়ে জানাতে একাধিক বার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি ড্রাগসুপার মোঃ ফখরুল ইসলাম। জাকির হোসেন মিথ্যা বলে এরিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও আসপাশের একাধীক ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন,জাকির সাহেব দীর্ঘদিন যাবৎ ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এঘটনার বিষয়ে আরো জানতে চোখ রাখুন আগামী দিনের পত্রিকায় অনুসন্ধান চলছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,