আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা করা হচ্ছে’

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পূজার মধ্যেও মণ্ডপে মণ্ডপে ‘আইভী সাম্প্রদায়িক’ লেখা বানার জুড়ে দিচ্ছে। খবর পেয়েছি, একটি চক্র ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে এই ব্যানার টানাচ্ছে। তারা হিন্দু মুসলামন দাঙ্গা লাগাতে চায়। জঙ্গিবাদের তকমা এই নারায়ণগঞ্জে লাগাতে চায় তারা। অথচ বহু আগের থেকেই এই শহরে আমরা হিন্দু মুসলমান এক সঙ্গে বাস করছি। আমাদের মধ্যে অসাধারণ সম্প্রতী রয়েছে। যা অন্যত্রও খুব একটা দেখা যায় না। তারপর ওই পক্ষটি ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে আইভী’ লেখা ব্যনার লাগাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আজ যারা অস্থির করতে চাচ্ছে, তারা আওয়ামী লীগেই ঘাপটি মেরে থাকা স্বার্থান্বেষী লোক। এই শহরে এমন নেতা আছে যার কোনো ব্যবসা নাই অথচ তার কোটি কোটি টাকা আয়। এ শহরে তাদের জায়গার কোনো অভাব নাই, টাকা দিয়ে তারা সবকিছু করতে পারে। তাদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে।

আইভী আরও বলেন, আলী আহম্মদ চুনকা শ্রমিক নেতা ছিলেন। রাজনীতির শুরু থেকে তিনি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে গেছেন। আমি সেই শ্রমিকেরই সন্তান। সে জন্যই আমি আপনাদের ডাকে চলে আসছি। বাবাকে সবসময় দেখেছি শ্রমিকদের পাশে থেকেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। অথচ আজ একটি পক্ষ সবাইকে বিভক্ত করে ফেলেছে। শ্রমিক সংগঠনকেও বিভক্ত করে ফেলেছে। এটা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি বলেন, জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগ সবসময় নিরপেক্ষভাবে সম্মেলন করতো। কিন্তু এবার জানতে পারলাম একটি পক্ষ কেন্দ্র থেকে বিভক্তির সূচনা করলেন। এটা না করে সঠিক পথে, সঠিক নিয়মে করা যেত। তারপরও আমি বলবো, আপনাদের কার্যক্রম আপনারা চালিয়ে যান। কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রাখবেন, যে কমিটিতে আপনাদের অন্তর্ভূক্ত রাখা হয়।

জেলা শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা মাইনুদ্দিন আহমেদ বাবুল, হুমায়ুন কবির, আখাতারুজ্জামান, ফিরোজ কায়সার আলম, মো. শহিদ উল্লাহ, মো. বাহাউদ্দিন, মো. শাহ আলম, মো. হাসিবুল ইসলাম প্রমূখ।