আজ সোমবার, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নরওয়েতে ভয়ংকর যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস

নরওয়েতে ভয়ংকর

নরওয়েতে ভয়ংকরঅনলাইন রিপোর্ট:

নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস করেছে দেশটির পুলিশ। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তিনি একজন ফুটবল রেফারি। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তিন শতাধিক কিশোরকে যৌন হেনস্থা করেছেন। কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে এই ব্যক্তি নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্কের কিশোরদের টার্গেট করতেন। অনেক কিশোর অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির সাথে সরাসরি সাক্ষাতও করেছে। নরওয়ে থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত এই ব্যক্তি মেয়ে সেজে বিভিন্ন চ্যাটিং ফোরামে ছেলেদের সাথে কথা বলতেন। খবর বিবিসির।

মেয়ে সেজে কখনো তিনি নাম নিতেন স্যান্ড্রা কখনো হেনরিয়েটা। ফোরামে কথা বলার মাধ্যমে তিনি প্রথমে ছেলেদের বিশ্বাস অর্জন করতেন। তারপর সেই ছেলেদেরকে প্ররোচিত করত তাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠানোর জন্য তিনি কখনো কখনো কিশোরদেরকে অর্থের প্রলোভন দেখাতেন। কিন্তু কিশোররা নগ্ন ছবি ও ভিডিও পাঠালে তা দিয়ে তিনি তাদেরকে জিম্মি করে ফেলতেন।

নগ্ন ছবি ফাঁস করে দেবার ভয় দেখিয়ে কিশোরদেরকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ বা জিম্মি করে ওই ব্যক্তি আরো নগ্ন ছবি ও ভিডিও আদায় করতেন। নরওয়ের সরকারী কৌঁসুলী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এই ব্যক্তি ১৬ হাজারের বেশি ভিডিও সংগ্রহ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও নগ্ন ছবি ও ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।

যারা এই ব্যক্তির সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। নরওয়ের সরকারী কৌঁসুলী গুরো হ্যানসন বুল বলেন, এটিই হচ্ছে নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা। যারা এই ব্যক্তির কাছে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন সেইসব মানুষের বয়স ৯ থেকে ২১ বছর বয়স।

১৫ জনের একটি তদন্ত দল এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখতে গিয়ে সব ছবি, ভিডিও ও চ্যাট ফাইল ঘেঁটে দেখছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে ২০১৬ সালে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু তখন ছাড়া পেয়ে যান। বর্তমানে অসলোর একটি জেলে বন্দী রয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত এই ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন গুনহিল্ড লেরাম। লেরাম নিজেই এখন থেরাপী নিচ্ছেন। এই কৌঁসুলী বলেন, তার মক্কেল আসলে একটা ‘ডাবল লাইফ’ বা ‘দ্বৈত জীবন’ কাটিয়েছেন এবং তার ছিল অনলাইনে অবৈধ পন্থায় নিজের অস্তিত্ব জারী রাখার আসক্তি।