সংবাদচর্চা রিপোর্ট
‘দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সামনে আরও ষড়যন্ত্র হবে এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে এই খেলাগুলো শুরু হয়েছে। যারা পিছন থেকে এখনো এ দেশের শান্তি নষ্ট করার জন্য খেলা খেলছেন, যারা পিছন থেকে এখনো এ দেশকে টেনে ধরার চেষ্টা করছেন এবং যারা এদেশের স্বাধীনতাকে নসাৎ করার জন্যে অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি খেলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমরাও খেলবো। সামনে খেলা অব্যশই হবে। এবং এই খেলাতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জয় লাভ করবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ অনুষ্ঠানে এমপি শামীম ওসমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সবাই জাতির পিতার কথা বলি এবং তার কন্যার কথা বলি। শেখ মুজিব সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। কারো পেটে লাথি দেয়ার জন্য না। সেই দেশ আমাদের করতে হবে যে দেশে নৈতিকতা থাকতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা তা সত্য। কিন্তু দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা দেখি বাংলাদেশ যখন ক্রিকেট খেলে তখন কিছু কুলাঙ্গার বাংলাদেশের সন্তান হয়ে এই দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে সমর্থন করে এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা বলে আমরা এখন পাকিস্তানেই আছি। এই কথা এতটা অপমানজনক যে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এ কথা মেনে নিতে পারে না। আমি তাই আপনাদের কাছে আহবান জানাই স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে উঠুন। আমাদের ভুল থাকে এবং আমাদের ত্রুটি আছে আপনারা সে জায়গায় আমাদের স্থান দখল করুন। একটা ভালো কাজ করুন দেশের জন্যে। যাতে মরার সময় বলতে পারেন দেশের জন্যে ভালো কাজ করেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা রাত জাগেন বলে আমরা আরামে ঘুমাই সেই পুলিশ বাহিনী, আমাদের সেই র্যাব, বিজিবি এবং যারা আমাদের দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন সেই সকল মানুষদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। যেসকল শক্তি এ কাজ করছে এবং তাদের পেছন থেকে কাজ করছে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে আমি একটি কথা বলতে চাই, বাংলাদেশ এখন কারো পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ায় না। এই দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাড়িয়েছে। এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল প্রমুখ।