আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নগরীতে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম, বিপাকে পথচারীরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের ২নং রেল গেইট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সড়কে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই পথচারীদের পকেট কিংবা ব্যাগ থেকে মোবাইল নিয়ে মুহুর্তেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। কর্মজীবী নারী ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বেশী। অথচ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন। তাই অবিলম্বে এ ছিনতাইকারী চক্রকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে নিরিহ পথচারীদের জান মালের সুরক্ষা প্রদানের আহবান ভুক্তভোগী নগরবাসীর।

নগরবাসী সূত্রে জানা যায়, ২নং রেল গেইট থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত সড়কটি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। হাজার হাজার পথচারী সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করে। হকাররা ফুটপাতের বেশীরভাগ অংশ দখল করে রাখায় প্রচন্ড ভীরের মধ্য দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। আর এই ভীড়ের সুযোগ নিয়ে ছিনতাইকারী চক্র পুরুষের পকেট থেকে কিংবা নারীদের ব্যাগের ভিতর থেকে সুকৌশলে মোবাইল নিয়ে চম্পট হয়ে যায়। আর অসহায় পথচারীদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে সেখানকার বাতাস।

দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থা চলতে থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নজরে না পরায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে ভুক্তভোগী নগরবাসী। তারা মনে করছে, পুলিশকে ম্যানেজ করেই ছিনতাইকারী চক্র তাদের অপকর্ম নির্বিঘেœ করে যাচ্ছে। আর তাই প্রশাসনের এ সকল দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবী করেছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পথচারী এ বিষয়ে সংবাদচর্চার এই প্রতিবেদককে বলেন, গত তিনদিন আগে ২ নং রেল গেইট এলাকা থেকে আমার স্ত্রীর ব্যাগ কেটে তার স্যামসাং মোবাইলটা নিয়ে মুহুর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায় একটি ছেলে। আমরা স্ত্রী চোর চোর বলে চিৎকার করলেও সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে সেখানে অবস্থিত পুলিশ বক্সে গিয়ে অভিযোগ করলে তারা থানায় যেতে বলেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষতো থানার নাম শুনলেই ভয়ে গা শিউরে উঠে। তাই থানার পথ আর মাড়ানো হয় না। এভাবে আমার মতো অসংখ্য মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু নেই কোন প্রতিকার।

অপর এক পথচারী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কয়েকদিন আগে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে থেকে কলেজের এক ছাত্রীর মোবাইল নিয়ে দিন দুপুরে হাওয়া হয়ে গেছে এক ছিনতাইকারী। অথচ শহীদ মিনারে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তখন দেখা গেছে মনের আনন্দে ফুচকা খাচ্ছেন আর আড্ডা দিচ্ছেন। আমারতো মনে হয় পুলিশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে ছিনতাইকারীদের। তাইতো তাদের ধরতে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না তারা।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, আমরা সব সময়ই তাদের ধরছি, কেউ অভিযোগ করলে তৎক্ষনাত ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকি। আসছে রমজান এবং ইদ উল ফিতরে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আরও বেশি সচ্চার হয়ে মাঠে থাকবে।