আজ শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তোলা হয় মামুনুলকে৷ পরে আদালতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা রতন মিয়া ।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, সাক্ষীরা ঘটনার দিন তারা যা দেখেছেন তা আদালতকে জানিয়েছেন। সাক্ষীরা আদালতে বলেছেন, মামুনুল হক পুলিশের কাছে মামলার বাদীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন।

তবে জান্নাত আরা ঝর্ণা জানিয়েছেন তিনি তার স্ত্রী নন, বরং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মামুনুল। আদালত সাক্ষীদের এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, মামলার মোট ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধর্ষণ মামলায় পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য শেষে দুপুরে তাকে পূর্ণায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, এর আগে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্না, সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীসহ সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান।

তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালান হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহন।
রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।

১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরার দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।